পর্যটক হিসেবে কক্সবাজার এসে হয়তো নিজেকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন নারী পুলিশ কনস্টেবল ও সাবেক স্ত্রী গণধর্ষণ ঘটনার মূল অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক কলিমুর। কিন্তু, শেষরক্ষা হলো না তার। গোয়েন্দা পুলিশের সুদৃষ্টির জালে বুধবার সকালে আটকে গেলেন তিনি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দুপুরে ঘোষণা দেয়ার আগেই কলিমুরকে কলাতলী এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তবে এ আটক বিষয় নিয়ে ‘লুকোচুরি’ খেলেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেছেন, এরকম কোনো তথ্য তিনি জানেন না।তবে সদর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ডিবির কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অভিযানে ছিলেন তা জানা নেই। ডিউটি অফিসার হয়তো বলতে পারবেন।বিয়ষটি সম্পর্কে জানতে মডেল থানা পুলিশের ডিউটি অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বে থাকা অফিসার (এক নারী কর্মকর্তা) বলেন, কলিমুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিক, তবে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। যারা (ডিবি) তাকে আটক করেছেন তারা তাকেসহ থানায় এসে অল্পক্ষণ পরে বেরিয়ে যান। এতটুকু বলে তার পরিচয় জানতে চাওয়ার আগেই আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এদিকে, নারী কনস্টেবল গণধর্ষণের আলোচিত ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে আটকের বিষয়টি সদর থানা পুলিশ জানলেও জেলা পুলিশের কর্তা ব্যক্তিগণ ওয়াকিবহাল না থাকাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন বোদ্ধা মহল। তাদের ধারণা, কক্সবাজার জেলা পুলিশে ‘সমন্বয়হীনতা’ চলছে।উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ওই নারী পুলিশ কনস্টেবলকে (২৫) গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তার সাবেক স্বামী ওই থানার প্রাক্তন এএসআই কলিমুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজনের বিরুদ্ধে।এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হলে, ধর্ষিতার ফরেসনিক পরীক্ষা করানো হয়। মেডিকেল রিপোর্টে নারী কনস্টেবলকে গণধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। আর ঘটনার পর থেকেই কলিমুর পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তৎপরতায় কলিমুরের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায় তারা। শেষমেষ কলাতলী এলাকার এক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দারা।
Advertisement
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের দল ঢাকার পথে বেরিয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/ এমএএস
Advertisement