বিশেষ প্রতিবেদন

প্রবাসীদের ভোটার হতে সহযোগিতার নির্দেশ

প্রবাসীদের ভোটার করা ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সহজেই দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদেরকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের মাধমে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সকল আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ নির্দেশনাটি পাঠান।

জানা যায়, বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন, ভুল সংশোধন, ভোটার এলাকা স্থানান্তর এবং নতুন অথবা প্রতিস্থাপন এনআইডি দেয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে নির্দেশনা গেছে। এ সব সেবা দেয়ার সময় কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা হয়রানি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়- নতুন ভোটার নিবন্ধন : বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় ন্যূনতম কাগজপত্রের ভিত্তিতে অথবা ভোটার নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঘাটতি থাকলেও তার পূরণ করা ফরমের ডাটা এন্ট্রি ও বায়োমেট্রিক নিয়ে রাখতে হবে। যাতে ওই প্রবাসীদের পরবর্তীতে আর নির্বাচন অফিসে হাজির হতে না হয় এবং তার পক্ষে কেউ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে তা তদন্ত করে ডাটা আপলোড করা যায়।

Advertisement

নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। প্রবাসে থাকার কারণে তারা খুব স্বল্প সময় নিয়ে দেশে আসেন। যে কোনো সেবা গ্রহণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র অপরিহার্য। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ছাড়াও সারা বছর উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন, হারিয়ে যাওয়া/নষ্ট হওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র প্রতিস্থাপন এবং ভোটার এলাকা স্থানান্তর সংক্রান্ত সেবা গ্রহণের জন্য বিদেশ ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকরা উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে দ্রুততার সঙ্গে এবং আন্তরিকতার সাথে তাদেরকে উক্ত সেবা প্রদান করা নৈতিক দায়িত্ব।

অগ্রাধিকার সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশীয় সকল নাগরিকের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করতে হবে। কোনো ব্যক্তির আবেদন জমা নেয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করা যাবে না। এমনকি প্রয়োজনীয় বা চাহিদা অনুযায়ী কোনো ডকুমেন্ট না দিলে বিনয়ের সঙ্গে তা জমা দিতে অনুরোধ করতে হবে। এরপরও আবেদনকারী ওইসব ডকুমেন্ট জমা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলেও ভুল সংশোধনের আবেদন গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে বিনয়ের সঙ্গে পরামর্শ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে অস্বীকার করলে তা একটি প্রতিবেদন আকারে আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পাঠাতে হবে। একইভাবে ভোটার এলাকা স্থানান্তর এবং হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া আইডি কার্ড পুনরায় তোলার ক্ষেত্রেও দ্রুততার সঙ্গে করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, নতুন ভোটার হতে হলে প্রমাণাদি ও ডকুমেন্টসসহ আবেদনপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যেতে হয়। প্রয়োজনীয় সকল প্রমাণাদি ও কাগজপত্র দেখাতে পারলে তাকে ভোটার করার জন্য ডাটা এন্ট্রি, ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ নেয়াসহ বাকি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

Advertisement

এইচএস/এআরএস/আরআইপি