উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যোগাযোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। শনিবার চীন সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ধরনের মন্তব্য করেন তিনি।
Advertisement
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছিল।
জাতিসংঘের চাপে উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও মিত্র দেশের সঙ্গে ট্রাম্পের দেশের বৈরিতা চায় না চীন। টিলারসনের কাছে চীন জানতে চেয়েছিল কবে নাগাদ কিম জং উনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসবে। অনেক কর্মকর্তায় মনে করেন দেশ দুটির প্রধানরা আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধান করতে পারেন।
এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে; আমরা অন্ধকার পরিস্থিতিতে নেই।’
Advertisement
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল কিমের দেশ। তার জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গুয়ামের কিছু হলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতো রাগ এবং অগ্নি বিশ্ব আগে দেখেনি; গুলি ভরা বন্দুক তাক করা রয়েছে।’ কিমকে পাগল, ক্ষ্যাপাটে, রকেটমানব বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে ট্রাম্প বিকারগ্রস্ত, মানসিক ভারসাম্যহীন, পাগল বুড়ো এবং ভীমরতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিম জং উন।
এতো কিছুর পরেও সমঝোতা করার কোনো আগ্রহ দেখায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে কিমের দাবি, যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং নিজেদের ভালোর জন্য হলেও ওয়াশিংটনের উচিত পিয়ংইয়ংকে সমীহ করে চলা।
Advertisement
অন্যদিকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা নিয়ে ওয়াশিংটন ভাবনার কথা জানালেও পরিষ্কারভাবে তেমন কোনো পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়নি। পরে এ ব্যাপারে চীনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে একপর্যায়ে টিলারসন বলেন, নিজেরাই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
তবে ট্রাম্পের মনোভাব, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না করার। সমঝোতা করার মতো কোনো মানসিকতা এখন পর্যন্ত দেখাননি তিনি।
তবে চীন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধ শুরু হলে কেউই জয়ী হবে না। সেকারণে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধান করা দরকার।
সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
কেএ/আরআইপি