বিশ্ব প্রবীণ দিবস আজ (১ অক্টোবর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালন করা হবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে।
Advertisement
এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভবিষ্যৎ অগ্রসরে : সমাজে প্রবীণদের দক্ষতা, অবদান এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন’। প্রবীণ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর পহেলা অক্টোবর আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয়।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবীণদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি তারা যাতে সুখ-শান্তিতে এবং মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘বার্ধক্যের বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই একদিন প্রবীণত্বকে বরণ করতে হয়। প্রবীণদের নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজ গঠনমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা গেলে, তারা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। সাথে-সাথে জাতীয় উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেছেন, ‘জীবনসায়াহ্নে মর্যাদার সঙ্গে প্রবীণদের পরিচর্যা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা রাষ্ট্র, পরিবার তথা সমাজের অবশ্য কর্তব্য।’
প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে সরকারের নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার বয়স্কভাতা কর্মসূচি চালুর পাশাপাশি জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ এবং বাবা-মার ভরণপোষণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবীণদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তার প্রতিটি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে প্রবীণসেবা কর্মসূচি আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
Advertisement
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এফএইচএস/জেএইচ