শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টের আগেই দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদে। অভিযোগ- তিনি টেস্ট ব্যাটসম্যান নন। এ কারণে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন দলের বাইরে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বাউন্সি এবং গতিময় উইকেটে ভালো খেলার অভিজ্ঞতাই তাকে দলে ফিরেয়ে আনে। আবার সাকিব আল হাসান দলে না থাকাটাও ছিল একটা কারণ।
Advertisement
পচেফস্ট্রমে সিরিজের প্রথম টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়েই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রথম ইনিংসের তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি। হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছাতে রিয়াদ খরচ করেন মোট ১০৭ বল।
তামিমের আউট হয়ে ফিরে যাবার পরই ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুমিনুলের সাথে গড়েন ৬৯ রানের অসাধারণ একটি জুটি। মুমিনুল ৭৭ রান করে রানে ফিরে গেলেও সাব্বিরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিয়াদ এবং তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিও।
এর আগে ব্যক্তিগত ৬৮ রানের সময় রাবাদার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে অসাধারণ একটি বাউন্ডারি মারেন মুমিনুল হক। সঙ্গে সঙ্গেই গড়ে ফেললেন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনন্য এক মাইলফলকও। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল শাহরিয়ার নাফীসের। ২০০২ সালে ইস্ট লন্ডনে শাহরিয়ার করেছিলেন ৭১ রান।
Advertisement
এরপর অবশ্য বেশি দূর আগাতে পারেননি বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল। কেশব মাহারাজের বলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের ৬৪তম ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট লেগে মার্করামের হাতে ক্যাচ তোলেন তিনি। মুমিনুলের আউটের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে গেলো মাহমুদুল্লাহ-মুমিনুলের ৬৭ রানের জুটিও। যা এই ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪৯৬ রানের পাহাড় সমান নিংস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ জবাবে ৩৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement