বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করে মিয়ানমার যে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে চাইছে তাতে ওই এলাকার বৌদ্ধদের কোনো উপকারে আসবে না। তবে এনিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হবে। বাংলাদেশ দুর্ঘটনাবশত ভূ-রাজনৈতিক কারণে এ সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছে। এ সংকট থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
Advertisement
‘মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় : পাহাড়, উপকূল, রোহিঙ্গা সংকট ও বনাঞ্চল’ শীর্ষক বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ একথা বলেন।
সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড) আয়োজনে রাজধানীর সিবিসিবি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনে ছিল। ফলে রাখাইন রাজ্যে তেমন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। রাখাইন অঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত। রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে এনিয়ে অসন্তোষও রয়েছে। তাদের দৃষ্টি ফেরাতে তাই সামরিক গোষ্ঠী একটি জাতিকে নির্মূল করতে উদ্যত হয়েছে, যা কোনো সভ্য সমাজে সমর্থনযোগ্য নয়। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলা উন্নয়ন দর্শনের সঙ্গে পরিবেশের একটি বড় সংঘাত দেখা দিয়েছে, যা বিশ্বের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের কাছে তা আরও বেশি চ্যালেঞ্জ। কারণ বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ খুবই কম। এজন্য শিল্প কারখানা করতে গেলে জলাভূমি, কৃষি জমি নষ্ট হবে। কাটা পড়বে বন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। অবস্থান ও জমির স্বল্পতার কারণে পরিবেশের ক্ষতি না করে বাংলাদেশে কোনো শিল্প কারখানা তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু অনেকে বলছেন কোনো ক্ষতি হবে না। যারা এটা বলছেন তারা মিথ্যা বলছেন।’
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সিএসসি বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, স্থপতি হ্যান হ্যান, অধ্যাপক এম. শহিদুল ইসলাম, খুশী কবির প্রমুখ। এফএইচএস/জেডএ/আরআইপি
Advertisement