বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, চালের দাম কমানোর নামে চাল আমাদনীকারকদের ‘শূন্য’ মার্জিনে এলসি খোলার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে নির্দেশ প্রদান করেছে সরকার। চাল আমদানিতে বাজেটে ঘোষিত শুল্ক হ্রাস করে ২% নির্ধারণ করেছে। এতে মুনাফা বেড়েছে চাল আমদানীকারকদের।
Advertisement
কিন্তু বাজারে চালের দাম হ্রাস পায়নি। জনগণকে বর্ধিত দামেই চাল কিনতে হচ্ছে। চাল নিয়ে সরকারের কোনো চালবাজি চলবে না।
বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন মোড়ে চালের দাম বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পল্টন শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি পল্টন শাখার সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল। বক্তব্য রাখেন ঢাকা কমিটির সদস্য সেকেন্দার হায়াৎ, সিপিবি নেতা উত্তম কুমার ভৌমিক, জেসি সরকার, জামাল হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চাল ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন চালের বর্ধিত দাম হ্রাস পাবে। এতে বোঝা যাচ্ছে চালের দাম নির্ধারণের চাবিকাঠি রয়েছে ব্যবসায়ীদের হাতে। চালকলের মালিকরা এবং পাইকারী ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে চালের দামবৃদ্ধি ঘটিয়েছে।
Advertisement
এদের সহযোগিতা করেছে দুর্নীতিবাজ আমলাচক্র ও ক্ষমতাসীন অসৎ রাজনীতিবিদরা। চালকল মালিক-ব্যবসায়ী-আমলা-রাজনীতিবিদদের অসৎ সিন্ডিকেট চালের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এফএইচএস/একে