নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে ৬শ অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার বিকেলে র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরিজ এর নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। নরসিংদী আঞ্চলিক বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে তিতাস গ্যাস এর পনেরো জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অভিযানে অংশ নেয়। এসময় প্রায় ২৬০ ফিট অবৈধ বিতরণ লাইনের জন্য ব্যবহৃত ২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের লোহার পাইপ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় কাউকে আটক বা জরিমানা করতে পারেনি ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে নিয়মিত মামলার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এসময় অবৈধ সংযোগকারীরা সংঘবদ্ধ হলে ম্যজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরিজ পুলিশকে অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পরে সংঘবদ্ধ চক্র দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।তিতাস ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, একটি দালাল চক্র নরসিংদীর বিভিন্নস্থানে মূল সঞ্চালন লাইন থেকে অবৈধভাবে পাইপ লাইন টেনে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে জেলার সব কয়টি উপজেলার বিভিন্নস্থানে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় স্থানীয় লোকজন কয়েক হাজার মাইল এলাকা জুড়ে সহস্রাধিক বাসা-বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়। অবৈধ গ্যাসের এ সংযোগ দিয়ে দালাল চক্রটি স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অপরদিকে দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে গ্রাহকরা। নরসিংদী আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ের প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও এক শ্রেণির দালাল চক্রের দৌড়াত্বে কোনো ভাবেই অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যাচ্ছে না। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিনের পর পুনরায় দালালরা সংযোগ নিচ্ছে। ইতোপূর্বেও সোনাতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। প্রতারক চক্র আদালতকে অবমাননা করে পুনরায় সংযোগ অবৈধ সংযোগ স্থাপন করে। তাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।নরসিংদী বিক্রয় কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আহাদ বলেন, এই সোনাতলা গ্রামে ইতোপূর্বেও আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলাম। কিন্তু অসাধু চক্র আবার রাতের আধারে পুনরায় সংযোগ নেয়। তারা যত চেষ্টাই করুক অবৈধ কখনও বৈধ হবেনা। একটি অবৈধ সংযোগও তিতাস গ্যাস কাউকে ব্যবহার করতে দিবেনা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।সঞ্জিত সাহা/এমএএস/আরআইপি
Advertisement