শন পোলক বলছিলেন, ‘শুকনো উইকেট। ব্যাট ফাস্ট পিচ।’ দু’দিন আগে পচেফস্ট্রমে আসার পর সেনউইজ পার্ক স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। সেখানকার উইকেট, আবহাওয়া, মাঠের কন্ডিশন সব কিছুর সঙ্গেই পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। আগেই জানা গিয়েছিল, উইকেট শুকনো। ব্যাটিং বান্ধব। তবুও, আজ টস জেতার পর মুশফিকুর রহীম নিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
Advertisement
দীর্ঘ ৯ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শিহরিত টাইগার সমর্থকরাও। পচেফস্ট্রমে টসভাগ্যে জয়ী হওয়ার পর সেই শিহরণটা সবার আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবে টস জিতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। প্রোটিয়াদের পাঠালেন ব্যাটিংয়ে। এরপরই মূলতঃ বাংলাদেশের সমর্থকদের উচ্ছাস রুপ নেয় হতাশায়।
কেন মুশফিক ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন? এ প্রশ্ন প্রায় সবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা যুক্তি দেখিয়ে বলছেন, ৩য় দিনের আগে বল ঘুরবে না। ব্যাটিং উইকেট। তার ওপর চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে বাংলাদেশকে। যখন বল ঘুরতে থাকবে। আবার পক্ষেও যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন অনেকে। উইকেট কিছুটা আদ্রতা জমে আছে। পেসাররা ভালো সুইং এবং মুভমেন্ট পাবেন। কিন্তু এ ধারনা যে ভুল সেটা প্রমাণ করে দিলো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বোলাররা একেবারেই বিপদে ফেলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটম্যানদের বলতে আসলে দুই ওপেনারের কথাই বোঝানো হচ্ছে। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ২৭ ওভার হাত ঘুরিয়েও যে স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার-ডিন এলগার আর অভিষিক্ত এইডেন মারক্রামের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেননি মুস্তাফিজ-তাসকিনরা।
Advertisement
বাংলাদেশের নির্বিষ বোলিংকে কাজে লাগিয়ে পচেফস্ট্রম টেস্টের প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে ৯৯ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডিন এলগার।
এ রিপোর্ট লেখার সময়, দ্বিতীয় সেশনের খেলা চলছিল। ৩৯ ওভারের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২৭ রান। ১২৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৩ রানে অপরাজিত আছেন ডিন এলগার। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি তুলে ফেলেছেন এইডেন মারক্রামও। ১০৮ বলে ১০ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এমএমআর/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement