আইন-আদালত

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় মুন্নার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

Advertisement

আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি নিজে আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন না-মঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মুন্নার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, তিনি আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। আদালতের দেয়া সময় শেষে তিনি উপস্থিত হতে না পারায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আদালতে আজ জিয়া চ্যারিটেবল মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নুর আহম্মদকে জেরা করেন আসামি মনিরুল ইসলাম খানের আইনজীবী টিএম আকবর। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় ৫ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

Advertisement

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। ওই বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

Advertisement

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জেএ/এমএমজেড/আরএস/জেআইএম