প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনের অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
Advertisement
জনগণের ক্ষমতায়নে তথ্য একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের এ অধিকারকে সম্মান দিয়ে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী আমরা নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ পাস করি এবং কমিশন গঠন করি। ফলে জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেয়া হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ২২টি এফএম বেতারকেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে তথ্যপ্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ টেলিভিশন চালুর ফলে গণমানুষের কাছে সংসদের কার্যক্রম সরাসরি পৌঁছানো অত্যন্ত সহজ হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রায় ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে সরকার ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।’
এফএইচএস/বিএ
Advertisement