দেশজুড়ে

বন্ধুর বউয়ের সঙ্গে পরকীয়া অতঃপর...

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দাফনের ৪০ দিন পর আদালতের নির্দেশে ব্যবসায়ী সৈকত হোসেন রনির (৩১) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।

Advertisement

মৃত রনি উপজেলার বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের খামার গ্রামের মৃত আবুল হাসেম সরকারের ছেলে। বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদা আক্তারের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।

আদালতে দায়ের অভিযোগ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সৈকত হোসেন রনি বাঙ্গরা বাজারে রড-সিমেন্ট ও হার্ডওয়ারের ব্যবসা করতেন। তার সঙ্গে একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার (২৮) বন্ধুত্ব ছিল।

সোহেল মিয়া বিভিন্ন সময় রনির বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে রনির স্ত্রী সাজিয়া আক্তারের সঙ্গে সোহেলের ঘনিষ্ঠতা ও পরে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement

বিষয়টি জানতে পেরে সোহেলকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন রনি। এতে সোহেল ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১৭ আগস্ট রাতে সাজিয়া আক্তারের (২৪) পরামর্শে রনিকে সোহেল মিয়ার বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ মামলা না নেয়ায় রনির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনপূর্বক ময়নাতদন্তের আদেশের জন্য গত ২৪ আগস্ট তার মা আয়শা খাতুন বাদী হয়ে সোহেল মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে অভিযোগ করেন।

শুনানি শেষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব দেবনাথ রনির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন ও থানায় মামলা রেকর্ড করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

বুধবার বিকেলে এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজা থানা পুলিশের ওসি মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড এবং মরদেহ কবর থেকে উত্তেলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মো. কামাল উদ্দিন/এএম/জেআইএম