ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করে আবেগাপ্লুত বাংলাদেশ সফরকারি ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। অনিন্দ্য সুন্দর বাড়িটির ইতিহাস নিশ্চুপ করিয়ে দেয় ভারতীয় ক্রিকেটের এই প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী রবি শাস্ত্রীকেও।বাংলাদেশ-ভারতের সিরিজে কোচের দায়িত্ব নিয়ে কোহলি-ধোনিদের সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন রবি শাস্ত্রী। কোচের দায়িত্ব পালনের ফাঁকে পরিদর্শন করেন এলেন বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। সেখানে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাংলাদেশ সফরকারি ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী।মাঝেমধ্যে শিউরে উঠছেন বঙ্গবন্ধুর অন্তিম পরিণতির মর্মস্পর্শী বর্ণনা শুনে। অস্ফুটে বলেন, এটা কী ভাবে কারো সঙ্গে ঘটতে পারে...! জানতে চেয়েছিলেন, ঘটনাটায় ঠিক কী ঘটেছিল? কখন ঘটেছিল? এক বার অস্থির হয়ে পাশে দাঁড়ানো ভারত অরুণকে ডেকে নিলেন দ্রুত। দেখালেন দেওয়ালের গায়ে বুলেটের দাগ। সেই ঘরের দেওয়াল, যেখানে একই দিনে আক্রান্ত হতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে।মেসেজ বুকে বার্তা রেখে যাওয়ার অনুরোধে শাস্ত্রী লিখেন, ‘আমি প্রথম বার এখানে এলাম। ফিরে যাচ্ছি অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে। বুঝতে পারলাম কেন শেখ মুজিবকে সব সময় এক মহৎ মানুষ বলা হয়। এখানকার সব কিছু আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে যারা আসবেন, তারা অবশ্যই এক বার আসবেন এখানে।’কেউ এক জন শাস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, আপনি কি পুরোটাই ঘুরে দেখবেন? নাকি কয়েকটা নির্বাচিত অংশ? উত্তরে শাস্ত্রী বলেন, `পুরোটা।`কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিবুরের বক্তৃতার ছবি দেখতে দেখতে তিনি বলেন, কলকাতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বরাবরই সম্পর্ক ভাল ছিল। মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে এক ফ্রেমে বঙ্গবন্ধুকে দেখে আবার মনে পড়ে গেল কলকাতার এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মিউজিয়ামেও একই ছবি তিনি দেখেছেন। পরিবেশ মৃদু হাল্কা করা মন্তব্যও একটা পাওয়া গেল। ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে মুজিবুরের ছবিটা যখন দেখলেন। শাস্ত্রী এ বার বলে ফেললেন, এক জন সিগার। এক জন পাইপ। দু’জনে ভাল জমত নিশ্চয়ই!এসকেডি/আরএস/এমএস
Advertisement