জাতীয়

মিয়ানমার সফরের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মিয়ানমার সফরের সিদ্ধান্ত থাকলেও রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এখন সফর হবে কি না তা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

Advertisement

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মিয়ানমার সফরে কবে যাচ্ছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা সত্যি যে মিয়ানমার সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এসেছিলেন। তিনি রিকোয়েস্ট করেছিলেন আমাদের মিয়ানমার যেতে। আমরা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যাব বলে দিনক্ষণও ঠিক করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই এ পরিস্থিতির (রোহিঙ্গা নির্যাতন) সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য চিন্তা করছি কীভাবে যাব, কী করণীয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

মিয়ানমার গেলে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের কবে ফিরিয়ে নেবে- এটাই হবে আলোচনার বিষয়বস্তু। তাদের আরও অনেক কিছু আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল। আমরা মনে করছিলাম আলোচনার মাধ্যমে একটা ফলপ্রসূ রেজাল্ট পাব। আমরা মাদক তৈরি করি না কিন্তু মাদকের অপকারিতার ভুক্তভোগী হচ্ছি। এ বিষয়টি নিয়েও তাদের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে। এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

Advertisement

বাংলাদশের আকাশসীমা লঙ্ঘণ করে মিয়ানমার প্রায়ই উস্কানিমূলক আচরণ করছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটা হুমকি কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তার জন্য আমরা এটাকে কোনো হুমকি মনে করি না। কারণ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বা সেনাবাহিনী সবাই অত্যন্ত দক্ষ। তাদের মনোবল অত্যন্ত চাঙ্গা। কোনো হুমকিকে আমরা হুমকি বলে মনে করি না।

‘তাদের হেলিকপ্টার মাঝে মাঝে আকাশ সীমা লঙ্ঘণ করছে। সীমানার খুব কাছাকাছি তাদের সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। এসব কিছুর পরও আমরা কিন্তু পরম ধৈর্য্য সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে কিছু মীমাংসা করতে চাই না। সব-সময়ই চাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করতে।’

রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে দেশে উদ্বাস্তু মানুষ আসে কিংবা অনুপ্রবেশ করে সেখানে বাড়তি একটা চাপ অবশ্যই পড়ে। নানা ধরনের অসুবিধায় পড়েছি এবং পড়তে যাচ্ছি। এটা মেনে নিয়েই তো আশ্রয় দিয়েছি।

তিনি বলেন, সবকিছুই হতে পারে। এজন্য আমাদের গোয়েন্দারা, নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি রয়েছে। তারা যাতে কোনো ধরনের টেরোরিস্ট বা সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য নজরদারি রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় তাদের খেয়াল রাখছে।

Advertisement

সরকার কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা (রোহিঙ্গা) সহায়-সম্বল ছেড়ে চলে এসেছে, আমরা তাদের রেখেছি। আশা করি মিয়ানমার খুব শিগগিরই তাদের নিয়ে যাবে।

আরএমএম/এএইচ/এমএস