আন্তর্জাতিক

বিশ্বযুদ্ধের পর শরণার্থী সংকট চরম পর্যায়ে : অ্যামনেস্টি

শরণার্থীদের প্রতি মানবিক সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিশ্ব নেতাদের তীব্র সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শরণার্থী সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থাটি। খবর এএফপি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠি বলেন, `আমাদের যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ শরণার্থী সংকটের মুখোমুখি আমরা। লাখ লাখ আশ্রয়হীন নারী-পুরুষ এবং শিশু, যারা প্রাণঘাতী যুদ্ধের মধ্যে বেঁচে থাকার তীব্র লড়াই করেছে। মানব পাচারকারি চক্র এবং বিভিন্ন দেশের সরকার মৌলিক মানবিক দিকটি বিবেচনা করার পরিবর্তে স্বার্থপরের মতো নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থটুকুই শুধু হাসিল করে চলেছে।`জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে ৪০ লাখ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এসব শরণার্থীর ৯৫ শতাংশকে আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশি দেশগুলো। বর্তমানে লেবাননের প্রতি ৫ জনে একজন সিরিয়ায় শরণার্থী। লেবাননের শরণার্থী গ্রহণের ক্ষমতা এরই মধ্যে সীমা অতিক্রম করে গেছে। সরকারও বেশ নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে। বাধ্য হয়ে লেবাননও উদ্বাস্তুদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশটিতে উদ্বাস্তু প্রবেশের সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ সিরিয়ায় ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়া থেকে আসা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলো উল্লেখ করার মতো কোনো আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পায়নি। জাতিসংঘ শরণার্থীদের জরুরি চাহিদা পূরণে তহবিল চেয়ে বারবার আবেদন জানালেও আন্তর্জাতিক মহল সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়েছে।ভূমধ্যসাগরীয় উদ্বাস্তু সংকটের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি। আকস্মিকভাবে উদ্বাস্তু উদ্ধারের `অপারেশন মেয়ার নস্ট্রাম` বন্ধ করে দেয়ার কারণে সমুদ্রে উদ্বাস্তুদের ডুবে মরার হার বেড়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা পাচারকারী চক্রের মূল হোতা হিসেবে মালয়েশিয়ার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে শনাক্ত করেছে সে দেশের পুলিশ। মালয়েশিয়ার অন্তত তিনজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের আড়ালে আন্তর্জাতিক এই পাচার চক্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বলে পুলিশ জানায়। চক্রের ৭০ জনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মালয়েশিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরের একটি এলিট ফোর্স তদন্তের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করেছে বলে জানানো হয়। তবে মূল হোতাদের পরিচয় জানানো হয়নি।  এসকেডি/এমএস

Advertisement