গাজীপুরের কালীগঞ্জে ১২ বছরের প্রতিবন্ধী এক কিশোরী চাচা কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে ধর্ষিতা ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ভিকটিমকে নিয়ে তার পিতা ও স্বজনরা থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন।
Advertisement
অভিযুক্ত মো. হাশেম ফকির (৩০) উপজেলার জামালপুর গ্রামের হরমুজ আলী ফকিরের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রীর যোগালির কাজ করে। সম্পর্কে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর প্রতিবেশী চাচা।
ভিকটিমের দিনমজুর পিতা জানান, সোমবার দুপুরে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশের একটি হলুদ ক্ষেতে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই হলুদ ক্ষেতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে হাশেমকে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। পরে ওই ব্যক্তি লাঠি নিয়ে তাড়া করলে ধর্ষক চাচা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাজমুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান। তিনি ভিকটিমকে হাসপাতালে ও থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার করার জন্য ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়। সেখানে যাওয়ার আগে কালীগঞ্জ থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
Advertisement
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিসেলী ঘোষ মুনমুন জানান, ভিকটিম ধর্ষণের বিষয় নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। কিন্তু স্থানীয়ভাবে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওএসসিসি’তে পাঠানো হয়েছে।
জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার বলেন, ভিকটিম ধর্ষণের ব্যাপারে আমাকে জানিয়েছে। আমি তাদের হাসপাতালে ও থানায় পাঠিয়েছি।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ জানান, ভিকটিম এসেছে আমি তাদের অভিযোগ শুনছি। বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আব্দুর রহমান আরমান/বিএ
Advertisement