কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকা রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে তাদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরেজমিন কক্সবাজারের বালুখালি এলাকায় গিয়ে অস্থায়ী ঘরগুলো থেকে তাদের সরিয়ে দেয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে।
Advertisement
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সড়কে ১০০ গজের মধ্যে রোহিঙ্গারা থাকতে পারবে না। তাই তাদের সড়কের পাশ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা যায়নি। তাই সন্ধ্যা থেকে তাদের সরিয়ে নিতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বালুখালি বাজার ছোট ব্রিজের পাশে মোট ১৫৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। রাতের আঁধারে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ইতোমধ্যে বালুখালির কয়েকটি গহীন জঙ্গল দেখে এসেছেন তাদের মাজি (দলনেতা)। আগামীকাল সকালের মধ্যে পাহাড়ে অবস্থান নেবেন তারা।
এদিকে অস্থায়ী ঘরগুলো থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে রোহিঙ্গারা। তারা বলছে, স্থানীয় চান মিয়া ও সোনা মিয়া এই জায়গাগুলো নিজের বলে তাদের থাকতে দিয়েছে। ৮০ স্কয়ার ফিটের একটি সামিয়ানা ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘরের বিনিময়ে তারা তিন হাজার ৬০০ টাকা করে নিয়েছেন।
Advertisement
তবে সেনাবাহিনী সদস্যরা বলেছেন, এটি সরকারি জায়গা। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
বালুখালির অস্থায়ী ক্যাম্পের মাজি তৈয়ব জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রতারিত হয়েছি। এতগুলো পরিবারকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে অনেক জায়গা দরকার। আমরা পেছনে পাহাড়ের এক কোণে জায়গা দেখে এসেছি। কিন্তু সেখানে পায়ের টাকনু পর্যন্ত কাদামাটি। এছাড়াও সন্ধ্যার পর আলোর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আমি বাংলাদেশ সরকার এবং এনজিওদের কাছে পাহাড়ে লাইট লাগানোর আবেদন করছি।’
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং, থ্যাংকখালিতেও এ ধরনের অসংখ্য অস্থায়ী ঘর ভাড়া দিয়েছে প্রতারকরা।
এআর/বিএ
Advertisement