দেশজুড়ে

বরিশালে এসপি ও এএসপি’র বিরুদ্ধে এসআই স্ত্রী’র সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মজিদ আলী ও সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) স্ত্রী। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ী রোডস্থ শিক্ষক সমিতির ভবনের বিএনডিএন মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝালকাঠি সদর থানার সাবেক (বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানায় কর্মরত) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নাজমা সুলতানা।লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত তার স্বামী ঝালকাঠি থানায় কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপার মজিদ আলী এবং সে সময়কার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিদুল ইসলাম তার স্বামীর ওপর বিভিন্ন রকম অন্যায় আচরণ করেন। এমনকি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিদুল ইসলাম তার স্বামীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে অর্থ নেন।এছাড়া শহরের পূর্ব চাঁদকাঠী এলাকায় এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুল। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করে। আর তখন প্রতিবাদকারীদের মামলা দিয়ে হয়রানির নিদের্শ দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুল। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্মকর্তার এ অনৈতিক আদেশ না মেনে নেয়ায় উপ-পরিদর্শক আনোয়ারকে জামায়াতের সমর্থক উল্লেখ করে বিভাগীয় মামলা রজু করা হয় এবং বন্ধ করে রাখা হয় তার বেতনভাতা ও রেশন। এমনকি উপ-পরিদর্শক আনোয়ারকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুল ইসলাম তার দেশের বাড়ি রংপুর রেঞ্জে বদলি করে নিজে সুদানে মিশনে চলে যান।এসআই আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নাজমা সুলতানা অভিযোগ করে আরো বলেন, ছাত্র জীবনে জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ওই পুলিশ কর্মকর্তা মহিদুলের এলাকায় যোগদান করলে তার স্বামীকে মহিদুলের স্বজন ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় তার স্বামী উপ-পরিদর্শক আনোয়ারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং পুলিশ বিভাগে নিষ্ঠার সাথে চাকুরি করার ব্যাপারে এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্ত্রী নাজমা সুলতানা।ঝালকাঠি জেলায় সংবাদ সম্মেলন না করে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন কেন করছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমা সুলতানা বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি শহরের একটি কামিউনিটি সেন্টারে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। তবে এসপি মজিদ আলী ও এএসপি মো. মহিদুল ইসলামের লোকেরা ভয়-ভীতি দেখানোর কারণে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা তা প্রকাশ করতে পারেনি। এ কারণে বিভাগীয় শহরে এসে সংবাদ সম্মেলন করা। সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী নাজমা ছাড়াও উপ-পরিদর্শক আনোয়ারের দুই শিশু ছেলেও উপস্থিত ছিল।সাইফ আমীন/এসএস/আরআই

Advertisement