অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। যদিও বিরোধী দলের নেতারা নওয়াজের সমালোচনা করে বলেছিলেন, বিচারের ভয়ে দেশত্যাগ করেছেন তিনি। কিন্তু তাদের কথা মিথ্যা প্রমাণ করে সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন নওয়াজ।
Advertisement
একমাস আগে স্ত্রী কুলসুম নওয়াজকে দেখতে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান নওয়াজ। সেখানে ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে কুলসুমের।
বর্তমানে লন্ডনেই রয়েছে নওয়াজের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তার মেয়ে মরিয়ম, ছেলে হাসান এবং হুসেইন মায়ের চিকিৎসার জন্য সেখানে রয়েছেন। তবে নওয়াজ দেশে ফিরলেও পরিবারের অন্য কোনো সদস্য দেশে ফেরেননি।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশ এয়ারলাইন্সের বিমানে করে সোমবার সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন নওয়াজ। তিনি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইসলামাবাদ পৌঁছেছেন।
Advertisement
পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) তথ্য সচিব মুসাহিদুল্লাহ খান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিমান চলাচল উপদেষ্টা সরদার মেহতাব আব্বাসিসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শরিফকে স্বাগত জানান।
পাঞ্জাব হাউজে আরও পরের দিকে পিএমএলএনের নেতাদের সঙ্গে একটি শরীফের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা। নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল দেশটির তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো। আদালতে জবাবদিহিতার আগে হয়তো দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন নওয়াজ।
শরিফের পরিবারের সদস্যরা ডনকে জানিয়েছেন, তাদের মা অসুস্থ থাকা স্বত্ত্বেও হুসেইন নওয়াজও পাকিস্তানে ফিরবেন।
পাকিস্তান ছেড়ে লন্ডনে যাওয়ার আগে নওয়াজ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তিনি তার স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই দেশের বাইরে যাচ্ছেন।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন নওয়াজ। তবে বরাবরই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। নওয়াজ বলেন, ‘আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি। যদি এটা পানামা পেপার্স নিয়ে কথা হয় তবে আমাকে কেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হলো?’
তিনি আরো বলেন, দেশে না ফেরার বিষয়টি কখনই ভাবেননি তিনি। কিন্তু বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দাবি করে আসছিল যে, নওয়াজ আদালতের জবাবদিহিতার ভয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম