২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল পাতানো হয়েছিল বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। এ নিয়ে বেশ সরগরম ছিল শ্রীলঙ্কা এবং ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গন। তবে যখনই এই ইস্যুটা একটু স্তিমিত হয়ে আসছিল, তখনই অভিযোগের ঢালি নিয়ে হাজির হলেন রানাতুঙ্গার সতীর্থ প্রমোদ্য বিক্রমাসিংহে।
Advertisement
ম্যাচ পাতানোর নতুন অভিযোগ ওঠার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তারা মনে করেন, এভাবে বারেবারে ঢালাও অভিযোগ না তুলে বিষয়টা তদন্ত করলেই তো হয়। ঢালাও অভিযোগ করার অর্থ, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরই অসম্মান করা।
এ কারণে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ পর্যায়ের ৪০জন ক্রিকেটার একত্রিত হয়ে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে গিয়ে স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আরজি পেশ করে অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত করার জন্য। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালসহ আর কোনো ম্যাচ পাতানো হয়েছিল কি না, সব বিষয় তদন্ত করে দেখার আবেদন করেন তারা। যেখানে স্বাক্ষর করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দিনেশ চান্ডিমাল, উপুল থারাঙ্গাসহ ৪০জন ক্রিকেটার।
আরজি জানানোর ৪৮ ঘণ্টা পার হতে না হতেই বিষয়টা তদন্ত করার দায়িত্ব নিয়েছে খোদ আইসিসি অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি উইনিট (আকসু)। শুক্রবারই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড স্বীকার করে যে, তারা অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা এবং দিনেশ চান্ডিমালসহ বাকি ক্রিকেটারদের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন পত্র পেয়েছিল। তারা আবেদন করেছে, এসব ভিত্তিহী অভিযোগকে তদন্ত করে প্রমাণ করার জন্য।
Advertisement
আকসুর জেনারেল ম্যানেজার আলেক্স মার্শাল বলেন, 'আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট সব সময় কাজ করে থাকে খেলাটির সম্মান এবং ঐতিহ্য সমুন্নত করার জন্য। যেখানে উপর্যুক্ত পরিস্থিত তৈরি হয়, তখন সেখানে তারা তদন্ত চালায় ক্রিকেটকেই কলুষতামুক্ত রাখার জন্য।'
শ্রীলঙ্কায় তদন্ত কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে আকসু জেনারেল ম্যানেজার বলেন, 'বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় আকসুর একটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ কাজের অংশ হিসেবে আমরা অনেক মানুষের সঙ্গেই কথা বলবো।'
বর্তমান সময়ের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অভিযোগ করেছেন, 'ভিক্রমাসিংহে ঢালাওভাবে বাজে অভিযোগ করেছেন তাদের বিপক্ষে।'
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement