জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে দেশীয় ফল চাষ করে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তাসহ সকল মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।রাজধানীর খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ফলজ বৃক্ষ রোপণ-২০১৫ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে ব্যাপক কৃষি বান্ধব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ সকল কার্যক্রমের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশে রয়েছে মৌসুমী ফলের ভান্ডার, এটাকে আরো সম্প্রসারিত করতে হবে। বাংলাদেশ প্রাচুর্যে ভরা। অনুকূল জলবায়ু ও পরিবেশের কারণে বাংলাদেশের ফলগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু।তিনি আরো বলেন, শিশুদের জন্য ফাস্টফুডের পরিবর্তে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে ক্ষতিকর গাছ রোপন না করে আরো অধিক পরিমাণ ফল বৃক্ষ রোপন করতে হবে। ফলকে যাতে কেউ দুষিত করতে না পারে এ সম্পর্কিত আইনের যাথাযথ প্রয়োগসহ জনসচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।এছাড়া অর্থনৈতিক পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত কার্যকরিতার জন্য নারিকেলসহ অন্যান্য ফলদ বৃক্ষের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হবে বলেও জানান তিনি।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ এ জেড এম মমতাজুল করিম বক্তব্য রাখেন।উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. শাহাবুদ্দিন আহমেদ ‘খাদ্য নিরাপত্তায় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নারিকেলসহ ফলদ বৃক্ষের অবদান’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।এইচএস/আরএস/আরআই
Advertisement