আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিপক্ষে থাকলেও চীন এখন বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। চীনের সঙ্গে এ সম্পর্ক আরো গভীরে নিয়ে যেতে চাই।রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সোমবার দুপুরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ফরিদুরন্নাহার লাইলী, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য এ এম কামাল প্রমুখ।
Advertisement
বৈঠক শেষে সৈয়দ আশরাফ বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। যখন মাওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের দায়িত্বে ছিলেন। মধ্যখানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হয়। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে এখন সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা চলছে।তিনি আরো বলেন, শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। চীনের ঐতিহ্যের সঙ্গে বাঙালির অনেক মিল রয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা।ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যখন চীন সফরে ছিলাম তখন মোদীও চীন সফরে ছিলেন। আমাদের এ অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) সবাই এখন চায় একসঙ্গে কাজ করতে।বৈঠক শেষে সিপিসি ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট-এর সেন্ট্রাল কমিটির ভাইস মিনিস্টার এইচ ই মি. জিয়ো ইয়াজহু বলেন, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুপ্তপূর্ণ দেশ। এ সফরের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলাদেশ-ভারত না, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।বৈঠকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট-এর ডেপুটি ডিরেক্টর মি. অ্যান ইয়াংজুং ও ইয়াং চ্যান, জোউ ইং সু, চেন বিন, লি ইয়াং জিং প্রমুখ।এএসএস/বিএ/এসআরজে