দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় ১১২ মেট্রিক টন চাল জব্দ, গুদামে সিলগালা

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলা থেকে প্রায় ১১২ (১১১ দশমিক ৬) মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকা ও তিন হাজার ১৭১টি চটের বস্তা জব্দ করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার রাত ১২টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের ঢোলভাঙ্গা নামক স্থানে চাল ব্যবসায়ী মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সের পাঁচটি গোডাউন থেকে এসব চাল, নগদ টাকা ও বস্তা জব্দ করা হয়।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) এস এম আশিক রেজা এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে গুদামগুলো সিলগালা করা হয়।

মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদ পলাশবাড়ী উপজেলার ঝালিঙ্গি গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক খন্দকারের ছেলে। তিনি চালের পাইকারি ব্যবসায়ী।

Advertisement

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিক রেজা মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক অবৈধভাবে চাল গুদামজাত করে রেখেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাঁচটি গুদাম থেকে ১১১ দশমিক ৬ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকা ও তিন হাজার ১৭১টি চটের বস্তা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনুর রশিদ পলাতক রয়েছেন। গুদামগুলো যেহেতু পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার সীমানায় অবস্থিত সেহেতু তার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযান পরিচালনাকালে তার ব্যবসার বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রহিমা খাতুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আমজাদ হোসেন, সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত নবীউল ইসলাম প্রমুখ।

রওশন আলম পাপুল/এফএ/এমএস

Advertisement