খেলাধুলা

অবশেষে বাফুফের বোধোদয়

মাঠ তো নয় যেন ধানের চারা রোপণের খেত। কোথাও বলভাসা পানি, কোথাও কাদায় ভরপুর। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের এমন মাঠেই জোর করে খেলা চালায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ভরা বর্ষায় ফুটবল চালালে যা হয় আর কী?

Advertisement

ক্লাবগুলোরও কিছু বলার নেই, তাদের নিজস্ব ভেন্যু না থাকায়। বাফুফেও কোনো মতে লিগের সিডিউলটা শেষ করতে পারলেই খুশি; কিন্তু পেশাদার লিগ প্রবর্তনের পর ১০ বছর কেটে গেলেও চলছে পরিকল্পনাহনীই। মোটা দাগের প্রশ্ন ফুটবল মৌসুমের সময় নিয়ে।

দীর্ঘ দিনেও বাফুফের কোনো মৌসুম নির্ধারিত ছিল না। কবে খেলা মাঠে গড়াবে, কবে শেষ হবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। এমন কী খেলোয়াড়রাও জানেন না তারা কবে থেকে উন্মুক্ত, কবে পর্যন্ত খেলতে হবে। যে কারণে প্রতি মৌসুমের দলবদলেই ঝামেলায় জড়িয়ে যান অনেক ফুটবলার। এ সব নিরসনে গত মার্চে বাফুফে প্রথমবারের মতো ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম ঘোষণা করে। সেটা করতে গিয়েও বিজ্ঞতার ছাপ রাখতে পারেনি বাফুফে। তারা মৌসুম ঘোষণা করে ২০ মার্চ থেকে পরের বছর ১৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ খেলাটা ভরা বর্ষাতেই।

বর্ষকালে ফুটবল-এর নেতিবাচক দিকটা এবার দেখা গেছে ভয়াবহভাবে। খেলোয়াড়রা টের পেয়েছেন কতধানে কতো চাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ফুটবলের সবেধন নীলমণি বলে বাফুফেও ছিল নির্বিকার। অনপুযুক্ত মাঠে খেলোয়াড়দের নামিয়ে দিয়ে দায় সেরেছেন কর্মকর্তরা। অবশেষে বাফুফের বোধদয় হয়েছে- বর্ষা মৌসুমে আর লিগ নয়। আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করতে চায় সেপ্টেম্বরে।

Advertisement

‘আমি ফুটবলার। জানি, এমন কাদামাঠে খেলতে কী কষ্ট। তাই আমরা ফুটবল মৌসুম পরিবর্তন করতে যাচ্ছি। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে লিগ। দলবদল কার্যক্রম সেরে ফেলবো জুলাই-আগস্টের দিকে। ফুটবল মাঠে গড়াবে ফেডারেশন কাপ দিয়ে আগস্টে। প্রিমিয়ার লিগের মধ্যবর্তী দলবদলের সময়টা আন্তর্জাতিকভাবে মিলিয়ে করা হবে। যাতে বিদেশি ফুটবলার রেজিষ্ট্রেশনে কোনো ঝামেলা না হয়’- বলেছেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি এবং প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী।

আরআই/আইএইচএস/জেআইএম