খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসান ও তুষার ইমরানের জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৪৪৪ রানের পাহাড়ে খুলনা। বিশাল রানের নিচে চাপা পড়ে ব্যাট করতে নামে বরিশাল বিভাগ। কিন্তু ১৭১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ফলোঅন এড়াতে এখনও তাদের প্রয়োজন ৭৪ রান। তৃতীয় দিন সকালে এই রান না করতে পারলে ফলো অনেই পড়তে হবে বরিশাল বিভাগ। এই লজ্জা এড়াতে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে লড়ছেন প্রথম স্তরের দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশালের রাফসান আল মাহমুদ ও মো. নুরুজ্জামান।
Advertisement
বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খুলনার বোলারদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে। ৯১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ছয়-ছয়টি উইকেট। বরিশালের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ইনিংসের হাল ধরেছেন রাফসান আল মাহমুদ ও মো. নুরুজ্জামান। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা দুজন সংগ্রহ করেছেন ৮০ রান।
রাফসান ১২৪ বল খেলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রানের অপরাজিত রয়েছেন। তার সঙ্গে ৯৭ বল খেলে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত আছেন নুরুজ্জামান। দ্বিতীয় দিন শেষে বরিশালের সংগ্রহ ৫৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান। খুলনার চেয়ে এখনো তারা ২৭৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ফলোঅন এড়াতে এখনো ৭৪ রান করতে হবে তাদেরকে।
শনিবার বরিশাল ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই উইকেট হারায়। ডাক মেরে ফিরে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আবু সায়েম। মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সায়েম। স্কোরবোর্ডে যখন বরিশালের রান ২, তখন উইকেটও হারায় ২টি।
Advertisement
এ সময় খুলনার আরেক পেসার আল-আমিনের বলে জিয়াউর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ফজলে রাব্বি (১)। ১৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। এ সময় আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বরিশালের উইকেটরক্ষক শামসুল ইসলাম (২)।
এরপর সালমান ও রাফসান প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৩৯ রানের জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু দলীয় ৫২ রানের মাথায় তাদের জুটি ভেঙে দেন আব্দুর রাজ্জাক। ৩২ রান করে ফিরে যান সালমান। এরপর ৮৬ ও ৯১ রানে আল-আমিন ও সোহাগ গাজীকে হারায় বরিশাল। আল-আমিনের উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক। আর সোহাগ গাজীকে ফেরান মেদেহী হাসান। সেখান থেকে দলের হাল ধরে দিন শেষ করেন রাফসান ও নুরুজ্জামান।
বল হাতে দ্বিতীয় দিনে খুলনার আব্দুর রাজ্জাক ও আল-আমিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি ও মেহেদী হাসান।
তার আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করা খুলনা আজ দ্বিতীয় দিনে বাকি ৭টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৬ রান তোলে। আজ দ্বিতীয় দিনে বল হাতে জ্বলে ওঠেন বরিশালের মনির হোসেন। তিনি একাই ৭ উইকেট নিয়ে ধ্বস নামান খুলনার ইনিংসে।
Advertisement
প্রথম দিনে ১৬৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা মেহেদী হাসান আজ ব্যক্তিগত ১৭৭ রানে আউট হন। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ৩৭১ রানে চতুর্থ, ৩৮৪ রানে পঞ্চম, ৪০৬ রানে ষষ্ঠ ও সপ্তম, ৩১৩ রানে অষ্টম, ৪১৫ রানে নবম ও ৪৪৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
প্রথম রাউন্ডে একই ভেন্যুতে রংপুর বিভাগের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে খুলনা। এবার ঘরের মাঠে বরিশালের বিপক্ষে জয় পায় কি না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা, সেটাই দেখার বিষয়।
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি