দুই দেশের জাতীয় দলের শক্তির ব্যবধান অনেক। কেবল এশিয়াতেই নয়, বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও কাতার সমীহ করার মতো দল। সেই কাতারকে হারিয়ে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করছে বাংলাদেশের কিশোররা? আসলে বয়সভিত্তিক ম্যাচ বলেই এ সাহসটা করছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
Advertisement
সাহসটা বেড়েছে শুক্রবার প্রথম ম্যাচে ইয়েমেনের সঙ্গে তীব্র লড়াই করে হারার পর। যে ইয়েমেন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ‘ই’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে অর্ধডজন গোল দিয়েছে কাতারের জালে, সেই ইয়েমেনকে রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচের ফলটাতো কাতারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকেই ফেভারিট বলছে।
বয়সভিত্তিক লড়াই অনেক সময় ফিফা র্যাংকিংকে থোড়াই কেয়ার করে। দোহায় চলমান ‘ই’ গ্রুপের হয়ে যাওয়া ম্যাচ দুটিতে র্যাংকিংয়ের প্রভাব পড়েনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির চেয়ে ৬৮ ধাপ পেছনে থাকা বাংলাদেশের ছেলেরা কী লড়াই না করলো তাদের সঙ্গে। দুই অর্ধের শেষের দিকে দুটি গোল খেয়ে ম্যাচটি হারলেও আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গেছে। তাই ১১১ ধাপ সামনে থাকা কাতারের কিশোর দলকেও হারতে চায় পারভেজ বাবুর শিষ্যরা। দোহার গ্র্যান্ড হামাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও কাতারের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১ টায়।
দুই ম্যাচ জিতে ইয়েমেন নিশ্চিত করেছে চূড়ান্ত পর্ব। ১০ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা রানার্সআপ হিসেবে ৫ দল উঠবে চূড়ান্ত পর্বে। কাতারকে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে থাকতেই শেষ ম্যাচে নিজেদের সবটুকু উজার করে খেলতে চায় কিশোররা। দলের কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বাবু বলেছেন, ‘ইয়েমেনের কাছে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরেছি। আমাদের ছেলেরা তুমুল লড়াই করেছে। পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে কাতারকে হারাতে চাই। ছেলেরাও প্রস্তুত।’
Advertisement
অধিনায়ক ইয়াসিন আরাফাতও মনে করছেন ইয়েমেনের কাছে হারটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল ‘কিছু সামান্য ভুলের জন্য আমরা ম্যাচটি হেরেছি। কাতারের সঙ্গে সে ভুলগুলো করতে চাই না। আমরা মাঠে শতভাগ দিয়ে কাতারকে হারাতে চাই। তাহলে পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা টিকে থাকবে।’
আরআই/আইএইচএস/আরআইপি