খেলাধুলা

রাজশাহীতে চালকের আসনে চট্টগ্রাম

 

প্রথম দিন বৃষ্টিতে রাহশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল মাত্র ৪৩ ওভার। এই ক’ওভার ব্যাট করে চট্টগ্রাম বিভাগ ২ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল; কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষে চট্টগ্রাম মোট ১৩৯ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৪১৯। অথ্যাৎ, দ্বিতীয় দিন কতটা বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছে, এটা স্কোর কার্ড দেখেই বোঝা যায়। সুতরাং, রাজশাহী-চট্টগ্রাম ম্যাচে চালকের আসনে রয়েছে চট্টগ্রাম।

Advertisement

৪১৯ রান তুলেও চট্টগ্রাম ইনিংস এখনও ছাড়েনি। দ্বিতীয় দিন শেষ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন কাজী কামরুল (৩২) ও মেহেদী হাসান রানা (১১)। তারা দুজন তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন।

আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় উইকেটে শতরানের জুটি পূর্ণ করেন আগের দিন অপরাজিত থাকা তাসামুল ও ইয়াসির। এরপর দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রান-আউটে কাটা পড়েন তাসামুল হক।

দলীয় ২০৮ রানের মাথায় আউট হন ইয়াসির আলীও। তিনি যখন আউট হন তখন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে ছিলেন। ১৬৩ বল খেলে ১৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৯৪ রান করেন ইয়াসির। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক ইরফান শুকুর ও সাজ্জাদুল হক দলীয় স্কোরকে ২৯৩ রান পর্যন্ত টেনে নেন।

Advertisement

এই রানের মাথায় সাজ্জাদুলের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইরফান। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ৬৫ রান করে যান। এরপর দলীয় ৩০৩ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ফিরে যান মো. সাইফুদ্দিন (২)। ৩৬৮ রানের মাথায় ইফতেখার সাজ্জাদ রনি আউট হন। তিনি ৪৫ বলে ৪৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে যান। ৩৮৬ রানের মাথায় আউট হন সাজ্জাদুল হক। ১০৬ বলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রান করেন তিনি। এরপর নবম উইকেট জুটিতে কাজী কামরুল ও মেহেদী রানা ৩৩ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেন।

বল হাতে রাজশাহীর নাজমুল হোসেন ও সাকলাইন সজীব ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন ফরহাদ রেজা, শরীফুল ইসলাম ও সানজামুল ইসলাম।

প্রথম রাউন্ডে ঘরের মাঠে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে রাজশাহী। চট্টগ্রাম যেভাবে খেলছে তাতে এই রাউন্ডে রাজশাহীর ড্রয়ের মঞ্চ ইতিমধ্যে তৈরি করে দিয়েছে সফরকারীরা। বড় কোনো বিপর্যয় কিংবা অঘটন না ঘটলে রাজশাহী ও চট্টগ্রামের এই ম্যাচটি যে ড্র হবে সেটা বলতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

এদিকে খুলনা ও রাজশাহীতে ঠিকমত খেলা চললেও বগুড়া ও কক্সবাজারে খেলা হচ্ছে না। বৃষ্টি এবং মাঠ ভেজা থাকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুই মাঠের খেলা পণ্ড হয়েছে।

Advertisement

এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি