আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা ঠেকাতে মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করছে ভারত

জীবন বাঁচাতে ভারতের সীমানা অতিক্রম করতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঠেকাতে মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে ভারত। শুক্রবার ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

ইতোমধ্যে দেশটিতে ঢুকে পড়া ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য সুপ্রম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র সরকার।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দিল্লিতে জানান, আমরা তাদের গ্রেফতার কিংবা গুরুতরভাবে জখম করতে চায় না। তবে রোহিঙ্গাদের ভারতের মাটিতে আসতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্টান গ্রেনেড এবং মরিচের গুঁড়া স্প্রে করে কয়েকশ রোহিঙ্গাকে ভারতের মাটিতে ঢুতে বাধা দিয়েছি ... পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে।

Advertisement

২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় চার লাখ ২৩ হাজার রোহিঙ্গা। সেনাবাহিনীর তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত জাতিগত নিধনযজ্ঞের উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বহু মানুষ। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিজেদের খাবার ভাগ করে খেতে চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অথচ রোহিঙ্গাদের হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে স্টান গ্রেনেড এবং মরিচের গুঁড়া স্প্রে করছে ভারত। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে স্বজন হারানো এসব রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত শরীরে সীমান্তের কাছে গিয়ে মরিচের গুঁড়ার কারণে শরীরে বাড়তি জ্বালাপোড়া তৈরি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সরকার রোহিঙ্গাদের বরাবরই আড় চোখে দেখে আসছে। মিয়ানমারে গিয়েও মোদি রোহিঙ্গা নিপীড়নে সু চিকে চাপ দেয়ার বদলে তার প্রতি সমর্থন জানান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী।

Advertisement

২০১৪ সাল থেকে দুইশ ৭০ জনের বেশি রোহিঙ্গা ভারতের কারাগারে বন্দি জীবন পার করছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের আটক রাখার কথা বলছে ভারত।

সূত্র : রয়টার্স

কেএ/আইআই