শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. ইসরাফিল আলম এমপি বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের চেয়ে প্রয়োগের জোর দিতে হবে। কারণ মালিকরা সব সময় সংগঠিত কিন্তু শ্রমিকরা কম বেশি দুর্বল। শ্রমিকদের মধ্যে একাগ্রতা কম। তাই শ্রমিক আইনের সুফল ভোগ করত হলে আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। আইন সংশোধন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। দেশের সকল আইন সংশোধন হতেই থাকবে এটা প্রক্রিয়াধীন।
Advertisement
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত ‘শ্রম আইন সংশোধনী’ বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসরাফিল আলম বলেন, দেশে শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা এতো বেড়েছে যে, এ সংখ্যা এখন কত তা বলা যাবে না। কিছু কিছু শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বিজিএমইএ ভবনের সমানে শ্রমিকদের মিছিল ও আন্দোলন করতে দিয়ে ভেতর থেকে খাম নেয়।
শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু আইন সংশোধন করলেই হবে না। আইনের প্রয়োগের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। আইন এবং রুলস পড়লে এর প্রয়োগ সম্পর্কে শ্রমিকদের আরও বেশি সচেতন করা যাবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ৮-১০ শাতংশ শ্রমিক বিচার পেলেও বাকিরা বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ শ্রমিকরা মামলা করলে মালিক পক্ষ সন্ত্রাসী, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। এমন কি আদালতেও প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
দুর্ঘটনা কবলিত মৃত শ্রমিকদের ক্ষতি পূরণ এক লাখ টাকা বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষতি পূরণের বিষয়টি এক লাখ টাকা রাখার কারণ হলো, কোনো কোনো মালিক সল্প পুঁজিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। যদি ১০ লাখ টাকার পুঁজি থেকে দুর্ঘনটার কারণে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে পুঁজির অর্ধেক শেষ। বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এ বিধান রাখা হয়েছে। তবে বিদেশি কোম্পানি থেকে যাতে বেশি ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নিজামুল হকের সভাপতিত্বে খুশি কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেকেন্দার আলী মিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ব্লাস্ট-এর সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, লেবার কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক, আইনজীবী নেসার আহমেদ প্রমুখ।
এফএইচ/এএইচ/বিএ
Advertisement