ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের কুকীর্তি এখন আর কারও অজানা নয়। গত কয়েকদিন আগে তার ডেরা সাচ্চা সৌদা থেকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও গর্ভনিরোধক উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার তার দুই শিষ্য জানিয়েছে, ডেরায় প্রায় ছয়শ কঙ্কাল পুঁতে রাখা আছে।
Advertisement
ডেরার চেয়ারপারসন বিপাসনা ইনসান এবং ডেরার সাবেক সহ-সভাপতি পিআর নাইন সিরসায় ওই গণকবর থাকার তথ্যপ্রমাণ ‘সিট’-এর কাছে জমা দিয়েছেন। ডেরা নিয়ে তদন্ত করছে সিট। যেখানে ওই কঙ্কালগুলো পুঁতে রাখা রয়েছে, জার্মান এক বিজ্ঞানীর পরামর্শে সেখানে গাছের চারা লাগানোর কাজও শুরু হয়েছিল বলে জানান নাইন।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, রাম রহিমের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ উঠেছে। রাম রহিমের এক শিষ্যের অভিযোগ, ১২ বছর আগে ডেরা থেকে তার শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর কেটে গেছে ১২ বছর; সেই শিশুর খোঁজ পাননি তিনি।
আশ্রমের সেবার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশু সন্তান চাওয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেক আশ্রমে নিজের দুই মাসের শিশুকে দেন ওই শিষ্য। তবে কিছুদিনের মাথায় তার শিশু ডেরা থেকে উধাও হয়ে যায়। রাম রহিমের বিশাল বাহিনীর সামনে নিজের সন্তানের দাবিতে দাঁড়াতেই পারেননি ওই নারী।
Advertisement
এদিকে দুজন শিষ্যকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত রাম রহিমের সাজা হয়েছে ২০ বছরের। হত্যা মামলার ব্যাপারেও শুনানি চলছে। নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণে কারাগারে রেখেই রাম রহিমের শুনানি চলে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালত আর কারাগারে বিচারকের সঙ্গে রাম রহিমের কথোপকথন, যুক্তি-তর্ক চলে।
বিলাসী জীবন ছেড়ে কারাগারে বেশ অস্বস্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রাম রহিমের। ডেরায় মর্জিমাফিক শিষ্যদের পালা করে ধর্ষণ করতেন তিনি। কারাগারে নারী সঙ্গ না পেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন রাম রহিম।
চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, দেশের বাইরে থেকে উত্তেজক ওষুধ নিয়ে এসে খেতেন তিনি। তার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ডেরার শিষ্যরা ঋতুস্রাবের দোহাই পর্যন্ত দিতেন।
কেএ/এমএস
Advertisement