জাতীয়

পেশিশক্তি সংসদীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে : ড. কামাল

গণফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পেশিশক্তি ও মানি পাওয়ার সংসদীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। ভোটকে এসব থেকে বাঁচাতে ইসিকে উদ্যোগ নিতে হবে।

Advertisement

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত গণফোরামের মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় গণফোরামের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ড. কামাল হোসেন বলেন, দুই এমপিই সুষ্ঠু ভোটের অন্যতম বাধা। একটা মানি পাওয়ার ও অন্যটি মাসল পাওয়ার।তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন যে সরকার ও প্রশাসন থাকবে তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কমিশনকে বলেছি- যেনো আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়। জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দুই এমপির জন্য দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। গণতন্ত্র রক্ষায় দুই এমপি গণতন্ত্রকে আঘাত দিয়েছে তা ৪৬ বছর ধরে হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছি। কীভাবে দুই এমপি থেকে বাঁচা যাবে তার জন্যে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন চান কিনা জানতে চাইলে গণফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইনী সংজ্ঞায় রাখতে বলেছি। তবে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সেনা মোতায়েন করতে হবে। সশস্ত্রবাহিনীকে ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

তিনি জানান, প্রশাসনকে কীভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা যাবে তা আলোচনা করেই নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতেও কথা হবে। প্রশাসনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে।

সভায় গণফোরামের পক্ষ থেকে ২২ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি, কালো টাকার খেলা বন্ধ, ঋণ খেলাপির জামিনদারকে নির্বাচনে অযোগ্য, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বৈঠক। এ নিয়ে ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করল ইসি।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হরে ইসি।

এইচএস/এএইচ/এমএস