মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাক্ষাৎ হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে ফোনালাপ হলেও মঙ্গলবার বৈঠকে ইস্যুটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
Advertisement
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভেশ কুমার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছিল সৌজন্য সাক্ষাতের মতো। খুবই স্বল্প সময়ের বৈঠক ছিল সেটি। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তাদের বৈঠককে অনেকটাই দ্বিপাক্ষিক হিসেবেও উল্লেখ করেন রাভেশ।
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১০ সাল থেকে সাত বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে ভারত। এছাড়া আরো কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রাভেশ কুমার এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ে উষ্ণ সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে।’ নিউইয়র্কে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়টি উল্লেখ করে এ ধরনের মন্তব্য করেন তিনি।
Advertisement
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানে সমর্থন জানানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনাকে ফোন করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। মঙ্গলবার তাদের দু’জনের বৈঠকের আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। ভাষণে সু চি বলেন, তিনি রাখাইনের মুসলিমদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানেন না।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে সু চির ওপর বৈশ্বিক চাপ আসার পর তিনি এ ধরনের মন্তব্য করেন। রাখাইনে সেনা অভিযানের নিন্দা জানানোয় শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চির এ বক্তব্যের সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন সুষমা স্বরাজ। তবে দোকলাম ইস্যু নিয়ে তার সঙ্গেও কথা বলেননি তিনি। দোকলাম ইস্যুর সমাধান হয়ে গেছে এবং তা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই বলেও মনে করেন মুখপাত্র রাভেশ।
সূত্র : দ্য ইকোনমিকস টাইমস।
Advertisement
কেএ/এসআইএস/এমএস