লাইফস্টাইল

ব্লাশনের রকমফের

নিজের সৌন্দর্যকে অনন্য করে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপ ব্যবহার করে থাকেন অনেক নারী। আর এই মেকআপে ব্লাশনের ব্যবহার আমাদের সাজে এক নতুন মাত্রা যোগ করে দেয়। তাই ব্লাশনের সঠিক ব্যবহারও জরুরি। কারন সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে জানলে, পুরো মেকআপটাই নষ্ট হয়ে যায়। ভিন্ন ভিন্ন ব্লাশনের ব্যবহার করার পদ্ধতিও ভিন্ন।

Advertisement

আরও পড়ুন: যেমন পোশাক তেমন সাজ

ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের জন্য আবার ব্লাশনের ধরনও হয়ে থাকে ভিন্ন। বাজারে পাউডার, ক্রিম, লিকুইড ও জেলরূপে ব্লাশন পাওয়া যায়। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা ব্যবহার করতে পারেন গোলাপি, অ্যাপ্রিকট রঙের ব্লাশন। যারা একটু শ্যামবর্ণ, তারা ব্লাশনে গাঢ় শেড ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে।

কোনোরকম টাচআপ ছাড়া যারা দীর্ঘ সময় গালে ব্লাশের রং ধরে রাখতে চান, তাদের জন্যই লিকুইড বা জেল ব্লাশন উপযোগী। ওয়াটার প্রুভ এই ব্লাশন স্বাভাবিক ও মিশন ত্বকের জন্য উপযুক্ত। তবে শুষ্ক ত্বকে এই ব্লাশ ব্যবহার না করাই ভালো। লিকুইড বা জেল ব্লাশন লাগানোর আগে প্রাইমার বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু পাউডার লাগানো চলবে না।

Advertisement

সব ধরনের ত্বকের জন্য পাউডার ব্লাশন জরুরি। এটি ত্বকে ম্যাট ফিনিশিং এনে দেয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বকে জন্য এই ব্লাশন অধিক কার্যকর। পাউডার ব্লাশন লাগাতে ঘন ও মোলায়েম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন: লিপস্টিকের টুকিটাকি

ক্রিম ব্লাশন ময়েশ্চারাইজারযুক্ত তাই এটি ব্লাশন শুষ্ক ত্বকের জন্য অধিক উপযুক্ত। গালে ছোট ছোট ডটের মতন ব্লাশন লাগান। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে সার্কুলার মোশনে ব্লেন্ড করুন। ম্যাট ফিনিশ দিতে চাইলে, ক্রিম ব্লাশন লাগাবার পর সামান্য পাউডার ব্লাশন লাগানো যেতে পারে।

এইচএন/আরআইপি

Advertisement