আন্তর্জাতিক

সেনাবাহিনীর প্রতি দুর্বলতার অভিযোগ অস্বীকার করলেন সু চি

সেনাবাহিনীর প্রতি নিজের দুর্বলতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী ও দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান চালানোর অভিযোগ এনে জাতিসংঘ বলছে, সেনা জেনারেলদের সঙ্গে সু চির সম্পর্ক স্বাভাবিক এবং তার উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় ঐক্য গড়া।

Advertisement

গত আগস্টে রাখাইনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় ৪ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে এই রোহিঙ্গা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে সু চি সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে বলেন, লঙ্ঘনকারীদেরকে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

রোহিঙ্গা সঙ্কটে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ট মিয়ানমারের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা জাতিগত নিধনের অভিযোগের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি তিনি। সেনাবাহিনীকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সেনা দুর্বলতার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সু চি।

সেনাবাহিনীর প্রতি নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন কি না; এমন এক প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, আমরা কখনোই আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন করিনি। মঙ্গলবারের ভাষণের পর রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি এ মন্তব্য করেন। দেশটিতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের লড়াই করেছিলেন তিনি।

Advertisement

সু চি বলেন, একদম শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল জাতীয় পুনর্মিলন। আমরা সেনাবাহিনীকে নিয়ে সমালোচনা করিনি; তবে তাদের কাজের সমালোচনা করেছি। আমরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি।

পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর খসড়া সংবিধানের পাসের ব্যর্থ বিরোধিতার কথা স্মরণ করেন সু চি। সেনাবাহিনীর তৈরি এই সংবিধানের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে পারেননি তিনি। মিয়ানমারের এই সংবিধবানে নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে। সরকারের যেকোনো কাজে ভেটো দেয়ার ক্ষমতাও সেনাবাহিনীর আছে।

মিয়ানমারের এই নেত্রী রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, আমরা সংসদে পরিবর্তন আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। আমি অতীতে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছি এবং এখনো তাই করবো।

এসআইএস/এমএস

Advertisement