মতামত

নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে প্রতিটা উৎসব-পার্বণ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। চারদিকে একটি উৎসবের আমেজ। পূজা মণ্ডপগুলোতে এখন চলছে নানা ধরনের ব্যস্ততা। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসব যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পালিত হতে পারে সে ব্যাপারে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। বিশেষ করে পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

Advertisement

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২৭ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী এবং ৩০ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই দুর্গা পূজা ইতিমধ্যেই মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবী আগমনের ডামাডোল। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা উপলক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘এবার অন্যান্যবারের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নিরাপত্তায় কাজ করছে পূজা কমিটির নিজস্ব ভলান্টিয়াররা।’ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টায় রাজধানীর বনানীতে দুর্গা পূজা উপলক্ষে মহালয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হওয়ায় এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

এবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ৩ হাজার ৭৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূজায় পুলিশ-র‌্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ১ লাখ ৬৮ হাজার আনসার সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া প্রত্যেকটি মণ্ড সিসি ক্যামেরা দ্বারা বেষ্টিত।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। প্রতিটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে তাই এক মহামিলন ঘটে সবার। এবারের পূজাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলেছেন বাস্তবেও এর প্রতিফলন দেখতে চাই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে নাগরিক দায়িত্বও কিন্তু কম নয়। এ ব্যাপারে সবাই আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন-এমনই দেখতে চায় দেশের মানুষজন।

Advertisement

এইচআর/আইআই