মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুইশ ১৪টি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি এ ধরনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধারণ করা ছবি বিশ্লেষণ করে।
Advertisement
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করছে এবং সেজন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এর নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস করা দরকার।
একই সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর কিছু বিষয়ে অবরোধ আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, আকাশ থেকে মৌসুমি মেঘ সরে যাবার কারণে স্যাটেলাইটের চিত্রগুলো বেশ পরিষ্কারভাবে এসেছে।
Advertisement
সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখ স্যাটেলাইট থেকে ওই ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে আগে যা জানা গিয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপকতা উঠে এসেছে স্যাটেলাইটের সাম্প্রতিক ছবিগুলোতে।
রাখাইনে হাজার-হাজার বাড়িঘর ধ্বংসের চিহ্ন দেখা গেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফিল রবার্টসন জানান, রোহিঙ্গারা যাতে বাড়িঘরে ফিরতে না পারে সেজন্য মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ছবিতে তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে।
এর আগেও কয়েক দফা স্যাটেলাইটের ছবি পর্যালোচনা করে রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যখন ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিচ্ছে, তখন জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইন অঞ্চল ছেড়ে কেন চলে যাচ্ছে সেটির কারণ তার জানা নেই।
Advertisement
অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডব বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়ে ১২ জন নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের প্রখ্যাত ৩০ জন ব্যক্তি খোলা চিঠি লেখেন গত ১৩ সেপ্টেম্বর। সেই চিঠিতে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিবিসি বাংলা।
কেএ/আইআই