মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে পুরো বিশ্ব সরব হলেও, এক্ষেত্রে বিপরীত অবস্থান চীনের।
Advertisement
জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা ও বৃহৎ দেশগুলো মিয়ানমারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হলেও উল্টো জাতিসংঘে দীর্ঘদিনের মিত্র দেশটিকে সহায়তার কথা জানিয়েছে চীন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। খবর- চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলমনা সেনা অভিযানের চীনের সমর্থন রয়েছে।
Advertisement
গত প্রায় এক মাস ধরে রাখাইনে চলমান সেনা অভিযানের নামে হত্যা ও দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। একে জাতিগত নিধন বলছে জাতিসংঘ।
তবে মিয়নমারের দাবি, বিদ্রোহী দমনে অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের মতো নিহত হয়েছে।
এদিকে, জাতিগত এ নিপীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। তবে সু চির নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, যারা রাখা্ইন ছেড়ে পালিয়েছে তারা ফিরতে পারে, তবে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন আশা করছে দ্রুতই এ উত্তপ্ত অবস্থার অবসান হবে।
Advertisement
বিবৃতিতে ওয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা-পরামর্শের মাধ্যমেই এ সংকটের সমাধানের বিষয়টি সমর্থন করে চীন।
তিনি বলেন, চীন নিজস্ব পদ্ধতিতে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি চায় এবং আশা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি সমাধানে এবং আলোচনা এগিয়ে নিতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।
২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের নামে ধর্ষণ-নির্যাতন-হত্যা ও বসতিতে অগ্নিসংযোগ শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে এরইমধ্যে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা। তবে মিয়ানমার এদের তাদের নাগরিক বলে অস্বীকার করে আসছে। সেইসঙ্গে অব্যাহত রয়েছে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন।
এসআর/এমএস