মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে রাখাইন রাজ্যে কোনো ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হয়নি। সেখানে কোনো সামরিক সহিংতার ঘটনাও ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। খবর রয়টার্স।
Advertisement
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন সু চি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪ মিনিটে টেলিভিশনে প্রায় ত্রিশ মিনিটের ভাষণে সরকার এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়েই কথা বলেছেন শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই নেত্রী।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। প্রতিদিনই নতুন করে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, সেনাবাহিনী রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, লোকজনকে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
Advertisement
বেসামরিকদের ওপর কোনো ধরনের অত্যাচার চালানো হয়নি বলে উল্লেখ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা ওই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতেই অভিযান চালিয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তেমন কিছুই বলেননি শুধু বলেছেন, সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে কোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষ বা জাতিগত নিধনের মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
তিনি বলেন, বহু মুসলিম মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এমন খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা কেন ঘটল আমরা তা খুঁজে বের করব। যারা পালিয়ে গেছে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। একই সঙ্গে যারা এখনও রাখাইনে আছেন আমরা তাদের সঙ্গেও কথা বলতে চাই। আমি মনে করি এখনও বহু মুসলিম রাখাইনে আছে এ বিষয়ে খুব কম সংখ্যক মানুষই অবগত।
তিনি বলেন, দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে তার সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতির উদ্দেশে ভাষণে সু চি একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি। তিনি তার ভাষণে বার বার রাখাইনের মুসলিম সম্প্রদায় শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
Advertisement
রাখাইনের প্রায় ১১ লাখ মুসলিম নিজেদের রোহিঙ্গা বলে দাবি করেন। কিন্তু তাদের অবৈধ বাঙালী শরণার্থী বলে উল্লেখ করেন রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। সরকারও তাদের নিজেদের নাগরিক বলে কোনো স্বীকৃতি দেয় না।
টিটিএন/আরআইপি