মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই নেত্রী। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪ মিনিটে টেলিভিশনে ভাষণ দেন তিনি। খবর রয়টার্স।
Advertisement
মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা ভাষণে সু চি বলেন, অস্থিতিশীল রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মখীন করা হবে। সেখানে সহিংসতার শিকার লোকজনের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনা মোতায়েনের পর এই প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন সু চি। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। প্রতিদিনই নতুন করে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, সেনাবাহিনী রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, লোকজনকে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
Advertisement
সু চি বলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে ভীত নয় মিয়ানমার। এই সংঘাতের টেকসই সমাধানের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু বেসামরিকদের ওপর কোনো ধরনের অত্যাচার চালানো হয়নি বলে উল্লেখ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা ওই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতেই অভিযান চালিয়েছে।
সু চি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেননি শুধু বলেছেন, রাখাইনে কোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষ বা জাতিগত নিধনের মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি বলেন, তার সরকার সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় এবং এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন পুণরুদ্ধারে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান বন্ধে সোমবার দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য মানবিক সহায়তা গ্রহণ এবং নিরাপদে তাদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতেও দেশটির প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম