অাজ সনাতন ধর্মালম্বীদের শুভ মহালয়া। মহালয়া মানে দুর্গাপূজার দিন গোনা। মহালয়ার ছয়দিন পরেই আসে মহাসপ্তমী। মহালয়া উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে চলছে উৎসবের অায়োজন, অালোচনা সভা।
Advertisement
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পুরান ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজামণ্ডপে বিশেষ অনুষ্ঠানের অায়োজন করেছে জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদ। এদিকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে শারদীয় দুর্গোৎসবের দেবীপক্ষের শুরু, শুভ মহালয়া উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘ।
আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে তাই মহালয়া- পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন। মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয় বা আশ্রয়।
ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। শ্রীরামচন্দ্র অকালে অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এই শরতের পূজাকে দেবীর অকাল-বোধন বলা হয়। আসল দুর্গাপূজা হলো বসন্তে, সেটাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়।
Advertisement
সনাতন ধর্মে কোনো শুভ কাজ করতে গেলে প্রয়াত পূর্বজ-সহ সমগ্র জীব-জগতের জন্য তর্পণ করতে হয়, কার্যাদি-অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। তর্পণ মানে হলো খুশি করা।
ভগবান শ্রীরাম লঙ্কা বিজয়ের আগে এই দিনে এমনই করেছিলেন। অনন্তকাল ধরে এই ভারতভূমিতে কোটি কোটি মানুষ মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে- ‘ময়া দত্তেন তোয়েন তৃপ্যান্ত ভুবনত্রয়ম, আব্রহ্ম স্তম্ভ পর্যন্তং তৃপ্যন্তু’- এই মন্ত্র উচ্চারণ করে তিন গণ্ডুষ জল অঞ্জলি দিয়ে স্মরণ করে চলেছেন তাদের বিদেহী পিতৃপুরুষ এবং পূর্বপুরুষকে।
পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। ব্রহ্মার বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারত না। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ এর রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দূর্গা নয় দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করলেন।
Advertisement
এসএম/বিএ