পূর্বঘোষিত ‘মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও’ কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হলেও রোহিঙ্গা মুসলমান হত্যা, নির্যাতন ও ঘরছাড়া করার প্রতিবাদে দূতাবাসে স্মারকলিপি পৌঁছে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। তবে সেখানে মিয়ানমার দূতাবাসের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় পুলিশের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেয়া হয়।
Advertisement
সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ করে হেফাজত। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বেলা পৌনে ১টার দিকে মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে রওনা দেয় দলটি। তবে শান্তিনগর মোড়ে তাদের আটকে দেয় আইন-শৃঙ্খালা বাহিনী। সেখান থেকে গুলশান-বারিধারা এলাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে স্মারকলিপি দিতে যায় ১১ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল।
হেফাজতে ইসলামের ওই প্রতিনিধি দলে অংশ নেয়া ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী জাগো নিউজকে বলেন, ‘মিয়ানমার দূতাবাসে কোনো কর্মকর্তাকে আমরা পাইনি। সৌজন্যবোধটুকুও যেন নেই। মনে হচ্ছিল সবাই ভয়ে পালিয়েছেন।’
‘স্মারকলিপি প্রদানের খবরে দূতাবাসের একজন পিওন আসেন। আমরা তার হাতে স্মারকলিপি দিইনি। পরে পুলিশের অনুরোধে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদের হাতে হস্তান্তর করে আমরা রিসিভ কপি নিয়ে ফিরে আসি।’
Advertisement
তিনি বলেন, আজ অফিসের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘের ঢাকার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে পারিনি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে সেখানেও স্মারকলিপি দেয়া হবে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি নূর হোসেন কাসেমীর নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মহানগরের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হক, আব্দুর রব ইফসুফি, হাকিম আব্দুল করিম, সদস্য মুফতি জাকির হোসাইন, মুফতি মনির হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাজমুল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার বিষয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ সহযোগিতা করেছে। মিয়ানমার কার্যালয়ে অন্য কর্মকর্তারা না থাকলেও বাংলা ভাষী বাংলাদেশি একজন কর্মকর্তা ছিলেন। তার মাধ্যমে স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
জেইউ/এএস/জেডএ/আইআই
Advertisement