৪ ওভার ১ মেডেন ১২ রান ৩ উইকেট। ৪-১-১২-৩। ফিগারটা দেখলে নিশ্চিত যে কেউ বলবে- এটা টি-টোয়েন্টির বোলিং। কেউ হয়তো বিশ্বাসই করতে চাইবে না যে এটাও লঙ্গার ভার্সনের কোনো বোলিং হতে পারে। সত্যি ঘটনা হলো এটাই। চার দিনের ম্যাচে এই বোলিং ফিগারটা খুলনার বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা।
Advertisement
জাতীয় লিগের ১৯তম আসরের প্রথম রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে শেষ ইনিংসে মাত্র চার ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাতেও আগুন ঝরিয়েছিলেন যেন তিনি। এই চার ওভারেই তুলে নিলেন রংপুরের তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট। তবুও জেতাতে পারলেন না দলকে। কারণ, নির্ধারিত সময়ই যে শেষ হয়ে যায়! সুতরাং, ম্যাচ নিষ্প্রাণ ড্র।
রংপুর-খুলনা ম্যাচের শেষ দিনটি ছিল যেন এনামুল হক বিজয় আর মাশরাফি বিন মর্তুজারই। খুলনার ওপেনার বিজয় তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন। বিজয়ের ২১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর মাশরাফির ৪ ওভারে ৩ উইকেট। অথচ এমন দিনেও জয়ের স্বাদ পেলো না খুলনা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৭১ রান করে রংপুর বিভাগ। নাঈম ইসলাম আর ধীমান ঘোষ সেঞ্চুরি করেন। ৮৯ রান করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
Advertisement
জবাবে বিজয়ের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি আর রবিউল ইসলাম রবির সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ৪৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। তাদের লিড দাঁড়ায় ২৪ রান। আজ শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে রংপুর। কিন্তু ৮ ওভার ব্যাট করে ৩৭ রান তুলতেই হানা দেয় বৃষ্টি। তার আগেই অবশ্য অগ্নিবৃষ্টি বর্ষণ করেন মাশরাফি আর আল আমিন হোসেন। মাশরাফির ৩ উইকেটের সঙ্গে আল-আমিন নেন ১ উইকেট। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে আউট ফিল্ড ভেজা থাকায় ড্র ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
খুলনার হয়ে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে আজ (সোমবার) দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং উত্তাপ ছড়ান জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসে বল হাতে খুলনার হয়ে আল-আমিন হোসেনের সর্বোচ্চ ৪ উইকেটের সঙ্গে ৩টি উইকেট নেন স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পান মাশরাফি ও তুষার ইমরান।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খুলনার হয়ে প্রায় একাই জবাব দেন এনামুল হক বিজয়। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৬ রান করে নাসির হোসেনের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি। এছাড়া তুষার ইমরান ৫৪, মোহাম্মদ মিথুন ৪০ ও জিয়াউর রহমান ৩০ রান করেন।
Advertisement
রংপুরের হয়ে মোহাম্মদ নাসির হোসেন একাই নেন ৫ উইকেট। দুটি উইকেট নেন সরোয়ার্দী শুভ।
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি