চুড়ি ছাড়া বাঙালি নারীর সাজ অসম্পূর্ণ। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে তো বটেই, চুড়ি পরা হয়ে থাকে প্রায় সবধরনের পোশাকের সঙ্গেই। সববয়সী নারীর কাছে চুড়ি সমানভাবে সমাদৃত। বিশেষ করে তরুণীদের পছন্দের বিশেষ অনুষঙ্গ হচ্ছে কাঁচের চুড়ি। রেশমী চুড়ির পাশাপাশি সমান ভাবে জায়গা করে নিয়েছে চৌকো, ত্রিকোণ, ডিম্বাকৃতির প্লাস্টিক ও মেটাল চুড়ি। মাটি, সুতা, চামড়া, ব্যাকেলাইট, রবার, কাঠ, মাটি, বিডস, পুঁতি, সিটি গোল্ডসহ নানা ধরনের চুড়ির ব্যবহার বাড়ছে। এগুলো চুড়ির বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন : শরতে স্নিগ্ধ সাজ-পোশাক
ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চুড়ির রং নির্বাচন করেন বাঙালি নারীরা। সারা বছরই চুড়ি বিক্রি হয়। রেশমী চুড়ির দাম তুলনামূলক ভাবে কম। একটু ভালো মানের এক ডজন চুড়ির দাম পড়বে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া রয়েছে জয়পুরী স্টিল-২৮০, সুতি চুড়ি-৭০ টাকা। মুক্তার বালা-স্টোন, গ্লিটার আর মুক্তার সংমিশ্রণে তৈরি।
জয়পুরী চুড়ির ক্ষেত্রে হালকা মেটাল, কাঁচ ও মাটির মিশ্রণে তৈরি চুড়িগুলো এখন অনেক জনপ্রিয়। নকশাভেদে এসব চুড়ির দাম পড়বে প্রতি জোড়া ১৫০-৮০০ টাকা। মেটালের চুড়ির ক্ষেত্রে মেটালের সেট চুড়িগুলো এক সেট পরলেই হাত ভরে যায়। রঙ, মান এবং নকশার ওপর ভিত্তি করে দাম পড়বে ৪০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
Advertisement
আরও পড়ুন : মন হবে কৈশোরের সাজ-পোশাক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে টিএসসি মোড়, কলা ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ছবিরহাট, দোয়েল চত্বরে বসে রঙবেরঙের চুড়ির বাজার। সেখানে আরও পাবেন ঢাকাই চুড়ি। এছাড়াও ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সামনে, নিউমার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনী চকেও পাওয়া যায় রেশমী চুড়িসহ বাহারি চুড়ির বাজার। শহরের প্রায় সবগুলো মার্কেট ও শপিংমলে পাওয়া যাচ্ছে বাহারী এসব চুড়ি। এছাড়া আমাদের দেশে বিভিন্ন মেলাতে দেশীয় এবং দেশের বাইরে থেকেও চুড়ি আনা হয় বেচাকেনার জন্য।
এইচএন/এমএস
Advertisement