বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) বন্ধ চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
Advertisement
বিসিবির গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত মামলার বাদী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক রোববার এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
একই সঙ্গে, বর্তমান বোর্ড সভাপতি এবং পরিচালনা পর্ষদকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে নোটিশে। আইনি নোটিশ পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেয়া হলো, তা আগামী তিনদিনের মধ্যে না জানালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিসিবি ও এনএসসি সভাপতি ছাড়া আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এর সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন নোটিশ দাতার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
Advertisement
গঠনতন্ত্র পরিবর্তন না করেই নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এজিএম ও ইজিএমের উদ্যোগ নেয়ায় এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এজিএম বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর বিসিবির এজিএম ও ইজিএমের তারিখ ঘোষণা করেছিল বিসিবি।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব সফিক জাগো নিউজকে বলেন, বিসিবির গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত এক মামলায় আপিলের রায়কে নিজেদের পক্ষে দাবি করে ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করায় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রিটকারী।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের দাবি, রায় অনুযায়ী বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের কোনো বৈধতা নেই সাধারণ সভা ঘোষণা করার। তারপরও তা করায় সাধারণ সভা ও বিশেষ সভাসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিসিবি, এনএসসি সভাপতিসহ সাত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বরাবর তিনি এই নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, ‘২০১২ সালের বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় অনুযায়ী নির্বাচিত বিসিবির বর্তমান কমিটির কোনো বৈধতা নেই।
Advertisement
তিনি বলেন, যেহেতু গঠনতন্ত্রই অবৈধ তাহলে ওই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠিত বর্তমান কমিটিও অবৈধ। সে জন্য আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বলেছি বিসিবি যেন এজিএম, ইজিএমসহ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নয়তো এ বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।’
এফএইচ/জেডএ/এমএস