জাতীয়

সরকারের অবহেলায় ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক

হরতাল-অবরোধে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকলে এখন কেন নয়। সরকারের অবহেলার কারণেই সময় মতো ধান কেনা ও গুদামজাত হচ্ছে না। তাই কৃষক বাধ্য হয়ে ধান বিক্রি করছেন। এক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা।শনিবার রাজধানীর টিসিবি মিলনায়তেন অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১২১তম পর্বে আমন্ত্রিত প্যানেল আলোচকরা এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেনস লিডারশিপের নির্বাহী পরিচালক নাসিম ফিরদৌস এবং ব্যাংকার জিয়াউল হাসান।সরকারিভাবে ৮৫০ টাকা মণ দরে ধান কেনার কথা থাকলেও কৃষক বাজারে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকার বেশি দাম পাচ্ছে না। বারবার এ প্রসঙ্গে আলোচনা হলেও ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম ফিরদৌস বলেন, ধান প্রক্রিয়াজাত করে সরকারের গুদামে ওঠাতে দেরি করেছে সরকার। সে জন্য কৃষক বাধ্য হয়েছে কম দামে ধান বিক্রি করতে।জিয়াউল হাসান বলেন, অবরোধ বা হরতালের সময় যদি সরকার দ্রব্যমূল্য কম রাখতে পারে তবে ধানের বেলায় কেন ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে পারছে না।আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, যে সময় প্রক্রিয়াজাত করার কথা সে সময় না করায় এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে না কিনে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছ থেকে কেনায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।তবে প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আলোচনা করে আমরা কিন্তু অবস্থার সমাধান করার উদ্যোগ নিয়েছি এবং এতে দাম বেড়েছে।খেলাপি ঋণের ভারে জর্জরিত রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর জন্যে আরো পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। কিন্তু খেলাপি ঋণ কমানোর বড় কোনো উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে দেখা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের মতো গরিব দেশে পাঁচ হাজার কোটি টাকা অনেক বড় ব্যাপার। ব্যাংকগুলোকে নতুন করে পুঁজি দিয়ে একে টিকিয়ে রেখে সুযোগ দিচ্ছি। এটা তাদের টাকাতেই হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতি কোনো ভাঙা কলসি নয়। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছে। সময়সীমা বেঁধে দেয়া উচিত তবে, সরকারি ব্যাংকগুলো যেভাবে বিভিন্ন ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা দেয় সেটা প্রাইভেট ব্যাংকগুলো কখনোই করবে না।ব্যাংকার জিয়াউল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, এ সুযোগ দেয়ার একটি ডেডলাইন দেয়া দরকার। যার পরে আর সুযোগ দেয়া হবে না। নাসিম ফিরদৌস বলেন, এর ডেড লাইন তো টানতেই হবে। আর ঋণ খেলাপিদের বিচারও নিশ্চিত করতে হবে।আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকার লুটে সাহায্য করছে এবং দলের লোকদেরকে আরো সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার এমনটি করেছে।অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।জেইউ/বিএ

Advertisement