বাজারে মিনিকেট নামে যে চাল বিক্রি হয় তা আসলে সাধারণ মোটা চাল। বিশেষ পলিশিং মেশিনে কেটে চিকন ও চকচকে করে মিনিকেট বানানো হয়। এটা বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা লাভের একটা ফন্দি। আর এ চালে স্বাভাবিক খাদ্যমান নষ্ট হয়ে যায়।
Advertisement
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এ তথ্য পেয়েছে। আর তা সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনা করা হয়।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৪তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), মুহিবুর রহমান মানিক ও মো. তাজুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠকে অংশ নেন।
মিনিকেট চাল নিয়ে গবেষণার ফলাফলটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করে জনসচেতনতা সৃষ্টির সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।
Advertisement
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিআইডিএস মোট ১০৭টি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে ৪৪.১৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, ৫২.৩৬ শতাংশ বেসরকারি অর্থায়নে এবং ৩.৪৭ শতাংশ বিআইডিএস’র নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাটের ঘটনা কীভাবে রোধ করা যায় এবং শেয়ারবাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সে সম্পর্কে আরও কার্যকর গবেষণা পরিচালনার সুপারিশ করা হয়।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যে কোনো প্রকল্প নেয়ার পূর্বে যথেষ্ট গবেষণা করে বাস্তবভিত্তিক এবং দেশের কল্যাণে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পরামর্শ দেয়া হয় বৈঠকে।
এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement