জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। তার এই অর্জনকে সম্মান জানিয়ে ২০০১ সালে এফডিসির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সামনে নায়করাজের নামফলক স্থাপন করা হয়।
Advertisement
বহু বছর ধরে অযত্ন আর অবহেলা পড়েছিল সেটি। শেওলা আর গাছপালার ডালের আড়ালে পড়ে যাওয়ায় তেমন করে চোখেও পড়তো না। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেকবার প্রতিবেদনও হয়েছে। তবুও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তবে খুশির খবর হলো, দেরিতে হলেও নামফলকটির সংস্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এফডিসিতে গিয়ে দেখা যায় বেশ ঝকঝকে হয়ে আছে নামফলকটি। পরিচালক সমিতি পার হতেই চোখে পড়ে সেটি। চারপাশে অনেক লোকজন। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, নামফলটির সংস্কারকাজ চলছে। আর এই কাজের দেখাশোনা করছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হওয়ার বিরল গৌরব অর্জনের পর রাজ্জাক স্যারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই নামফলকটি তৈরি করা হয়। এফডিসি আর বাংলাদেশের সব চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের পক্ষে এই নামফলক স্থাপন করা হয়। কিন্তু এত বড় অর্জনের এই ফলকটি বহুদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে ছিল।
Advertisement
হঠাৎ একদিন আমার মনে হলো এই নামফলকের পাশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয় চকচক করছে। অথচ যিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, সেই নায়করাজ রজ্জাকের এই নামফলক অবহেলায় শেওলা দিয়ে ঢাকা। সেই দুঃখ থেকেই এটি সংস্কার করেছি।’
তিনি আরও জানান, এই ফলকটির সংস্কারের কাজ দেখে গেছেন নায়করাজের বড় ছেলে বাপ্পারাজ। তিনি শিল্পী সমিতিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
নতুন করে সংস্কারের পর রাজ্জাকের সম্মানে স্থাপিত এই নামফলকের চারপাশে ফুলের গাছ থাকবে। একটি স্পটলাইটও থাকবে, যাতে রাতে দূর থেকে ফলকটি সবাই দেখতে পান।
এলএ
Advertisement