পারিবারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের গল্পে নির্মিত হয়েছে কলকাতার ছবি ‘পোস্ত’। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার সাফটা চুক্তির ভিত্তিতে আসছে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
Advertisement
ছবির আমদানিকারক খান ব্রাদার্সের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী খবরটি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘পোস্ত’র বিনিময়ে ‘আমি তোমার হতে চাই’ ছবিটি কলকাতায় মুক্তি দেয়া হচ্ছে। অনন্য মামুন পরিচালিত ‘আমি তোমার হতে চাই’ ছবির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম ও বাপ্পী। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পায়।
তবে কলকাতার কয়টি হলে বাপ্পী-মিমের ছবিটি মুক্তি পাবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
‘পোস্ত’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার ‘বেলাশেষে’ ছবি খ্যাত নির্মাতা জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ। এই ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, মিমি চক্রবর্তী ও পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। গেল ১২ মে ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে।
Advertisement
খান ব্রাদার্সের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মোট ২৫টি ভালো সিনেমাহলে পোস্ত মুক্তি দেয়া হবে। আশা করছি পারিবারিক গল্পের ছবিটি সবাই উপভোগ করবেন।’
প্রসঙ্গত, সাফটা চুক্তিতে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে সিনেমা বিনিময় নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরেই এই সমালোচনা জোরালো হয়েছে। ঢাকার চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের দাবি, সাফটা চুক্তির আড়ালে কলকাতার সিনেমার বাজারকে ঢাকায় সম্প্রসারিত করার চেষ্টা চলছে।
তারা বলছেন, কলকাতা থেকে আসা ছবিগুলো যেভাবে ঢাকায় ‘জামাই আদর’ পায় ঠিক তার বিপরীত আচরণ মেলে ঢাকা থেকে কলকাতায় যাওয়া ছবিগুলোর বেলাতে। টালিগঞ্জের ছবিগুলো এপারে এসে প্রচার ও হল দখলে বাজিমাত করলেও বাংলাদেশি ছবিগুলো অনাদরেই পড়ে থাকে কলকাতার আমদানিকারকদের অফিসে। নামেমাত্র কিছু হলে চালানো হলেও সেগুলো নিয়ে কোনোরকম প্রচার বা হলগুলোর কোনোরকম ইতিবাচাক মনোভাব দেখা যায় না।
এইসব অভিযোগ-আক্ষেপ নিয়েই চলছে সাফটা চুক্তিতে চলচ্চিত্র বিনিময়। নানা সময় আন্দোলন ও প্রতিবাদ জানিয়েও উল্লেখ করার মতো সাফল্য মেলেনি। ছবি আমদানিকারক, বুকিং এজেন্ট ও হল মালিকরা কলকাতার ছবি ভালো ব্যবসা করে দাবি নিয়ে কলকাতার নামি-বেনামি তারকাদের ছবি আনছেন।
Advertisement
কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সাফটা চুক্তিতে আসা কোনো ছবিই বাংলাদেশি ছবির তুলনায় বেশি ব্যবসা করার সাফল্য পায়নি। এমনকি কলকাতার তুমুল জনপ্রিয় ছবি ‘বেলাশেষে’ও মুখ থুবড়ে পড়েছিলো কাকরাইলপাড়ার হিসেব নিকেষের খাতায়।
এনই/এলএ