তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন তারা। চতুর্থবারও দল ভালো ছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাগজে-কলমের হিসাবের সাথে মাঠের হিসাব মেলেনি। তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চতুর্থবার কিছুই করতে পারেনি।
Advertisement
উল্টো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে অধিনায়ক তথা টিম ম্যানেজমেন্টের মতপার্থক্য ও মনোমালিন্য নিয়েই কথা হয়েছে বেশি। এবার তাই সব পাল্টে নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। নতুন আইকন। কোচও নতুন।
মাশরাফির বদলে এবারের আইকন তামিম ইকবাল। আর মিজানুর রহমান বাবুলের বদলে এবারের কোচ সালাউদ্দীন।
শুধু টিম ম্যানেজমেন্টে রদবদলই নয়। কাগজে-কলমে একটা সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দলও গড়েছে কুমিল্লা। আইকন তামিমের সাথে আগেরবারের ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে রেখে দিয়েছে তারা। সাথে বিদেশি কোটায় মারলন স্যামুয়েলস, ডোয়াইন ব্রাভো, পাকিস্তানের হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ, আফগানিস্তানের রশিদ খান, ফাখর জামানেরমত তারকা ক্রিকেটার এবং সময়ের অন্যতম আলোচিত একঝাঁক পারফরমারের সমারোহ এবার কুমিল্লায়।
Advertisement
তাইতো প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে দলটির অন্যতম স্বত্বাধিকারী নাফিসা কামালের মুখে সন্তুষ্টির হাসি। মুখে আত্মবিশ্বাসী সংলাপ, ‘ওভার অল আমরা নিজ দল নিয়ে কনফিডেন্ট। আমাদের যে প্লানিং ছিল, সেটা পূর্ণ হয়েছে। যাদের টার্গেট করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগকেই নিতে পেরেছি। সে আলোকে বলব আমরা লাকি। কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেছি, সবাই সন্তুষ্ট।’
আগের বছরের ব্যর্থতা ঝেড়ে মুছে সামনে আগানোর লক্ষ্যেই আইকন ও কোচ পদে পরিবর্তন। এ কথা জানিয়ে নাফিসা কামাল বলেন, ‘সামনে আগাতে হলে কিছু পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতেই হয়। নতুন করে চেঞ্জ তো দরকার। আমরা তাই করেছি। একটা মানুষকে বড় না করে আমরা দলকে বড় করে দেখেছি। দল গঠনের ক্ষেত্রে আমরা যারা বর্তমানে ভালো খেলছে ও ফর্মে আছে তাদেরই অগ্রাধিকার দিয়েছি। আসলে নতুন ও পুরনো মিলে একটা ব্যালেন্সড দল গঠন করার ইচ্ছে ছিল। তা অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে।’
কুমিল্লার নতুন কোচ সালাউদ্দীন অবশ্য নিজ দলকে এক নম্বর বলতে নারাজ। তার কথা, ‘মোট দলই সাকুল্যে সাতটি। সেখানে কাউকে খুব বেশি এগিয়ে রাখার অবকাশ নেই। তবে আমাদের দল ভালো হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট দল নিয়ে। বাকিটা মাঠে দেখা যাবে।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement