বিনোদন

কাটপিসের যুগেই ধ্বংস হয়েছে বাংলা সিনেমার সুদিন

প্রেক্ষাগৃহের জমজমাট ব্যবসার আকর্ষণের চেয়ে নিজের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য ‘বুলবুল টকিজ’ কিনে নেন প্রচুর জমির মালিক ইব্রাহীম বিশ্বাস। কারণ এলাকার মানুষের কাছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার যে কারও সম্মান ছিল সব থেকে বেশি।

Advertisement

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাক একবার মহাদেবপুরে আসার পর তার ভক্ত-দর্শকের ভিড় ছিল যেকোনো রাজনৈতিক সমাবেশের চেয়ে অনেক বেশি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে না পারলেও প্রেক্ষাগৃহের মালিক হওয়ায় ইব্রাহীম বিশ্বাস নিজেকে চিত্রজগতের লোক বলতে পারবেন, এ কারণে ‘বুলবুল টকিজ’ কিনে নেন।

যেহেতু আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক দর্শক হতো ‘বুলবুল টকিজ’-এ, সে কারণে তিনি প্রেক্ষাগৃহের নামটাকে লক্ষ্মী বলে মনে করেন; নামে সেজন্য কোনো পরিবর্তন আনেননি। প্রেক্ষাগৃহের মালিক হওয়ার পর ইব্রাহীম বিশ্বাসের পরিচিতি দিন দিন বাড়তে থাকে। এলাকার বিভিন্ন উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হন তিনি।

সবখানেই নিজেকে সংস্কৃতিমনা মানুষ হিসেবে পরিচয় দেন ইব্রাহীম বিশ্বাস। একপর্যায়ে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতিও নির্বাচিত হন। ছোটবেলা থেকেই একই এলাকার মজিবুর রহমানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব, বেশিরভাগ সময় দুজনের একসঙ্গে কাটে; মজিবুরও সামন্ত প্রভু।

Advertisement

ইব্রাহীম বিশ্বাস থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর উভয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটে। একপর্যায়ে মজিবুর ভাবতে থাকেন, সভাপতি হওয়ার পর ইব্রাহীম আর তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করছেন না।

উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরপর অলিখিতভাবেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আগে আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও ইব্রাহীমের সমকক্ষ হওয়ার জন্য বিএনপিতে যোগ দেন মজিবুর। এরপর মহাদেবপুর থানা বিএনপির সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি।

কিন্তু তাতেও ইব্রাহীমের চেয়ে পিছিয়ে থাকেন কেবল প্রেক্ষাগৃহের মালিকানার দিক থেকে। এজন্য তিনি ঢাকায় বাড়ি করার জন্য গচ্ছিত টাকা দিয়ে ১৯৯৫ সালে এসে নির্মাণ করেন ‘আত্রাই সিনেমা’।

প্রেক্ষাগৃহটি মহাদেবপুর বাজারের পার্শ্ববর্তী আত্রাই নদীর অপর পাশে কুঞ্জবনে নির্মাণ করা হয়। দুটি প্রেক্ষাগৃহেই দর্শক হতো প্রচুর। নারী-পুরুষ, চাকরিজীবী, দিনমজুর সব শ্রেণির দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসত। তবে লোক কাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্র দেখতে দর্শক হুমড়ি খেত বেশি। কুঞ্জবনে ‘আত্রাই সিনেমা’ নির্মাণের পর জায়গাটির নাম বদলে আত্রাই কুঞ্জবন হয়ে গেছে। ২০০০ সালে এসে মজিবুর ‘আত্রাই সিনেমা’র প্রদর্শনীর টাকা দিয়ে ঢাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করেন।

Advertisement

২০০৩ সালে ইব্রাহীম বিশ্বাস মারা গেলে তার দুই ছেলে শামসুজ্জামান বিশ্বাস ও জাফর ইকবাল বিশ্বাস মিলে ‘বুলবুল টকিজ’ চালাতে থাকেন। ২০১২ সাল অবধি দর্শকের কোনো সঙ্কট হয়নি প্রেক্ষাগৃহ দুটিতে।

‘বুলবুল টকিজ’র ব্যবস্থাপক বুলবুল হোসেন বলেন, ‘আগে যে সিনেমাই লাগানো হতো, তাতেই প্রচুর দর্শক হতো। আলাদাভাবে উল্লেখ করার মতো কোনো সিনেমা নাই। সব রকম দর্শক হলে আসত। তারপরও আলমগীর, শাবানা, রাজ্জাক, ববিতার সিনেমা থেকে এই নসিমন, খায়রুন সুন্দরী, রাঙ্গা বাইদানী আর মান্নার সিনেমাগুলো ভালো চলেছে।’

যদিও ২০০৫ সালের দিকে এলাকায় স্যাটেলাইট চ্যানেলে চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ হয় মানুষজনের। তারপরও দর্শক চলচ্চিত্র দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাতে থাকেন আগের মতোই।

বুলবুলের কাছেই জানতে পারি, মান্নার চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীতে দর্শকের জন্য কোনো রকম দুশ্চিন্তা থাকত না। এলাকার লোকজন মান্নার নাম শুনলেই হলমুখী হতো। এমনকি সিডি কিংবা ডিভিডিতেও তারা মান্নার চলচ্চিত্র দেখত।

‘মান্না মারা যাওয়ার পর সেই জায়গাটা পেয়েছে শাকিব খান। কিন্তু শাকিবের সিনেমার যে রেট, তা দিয়ে তো আর আমরা নিয়ে আসতে পারি না। এমনিতেই সিনেমা চলে না, ফিক্সডে কি আর এইসব হলে বর্তমানে সিনেমা চালানো সম্ভব?’

বুলবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ডিশের জন্য কোনো ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে মোবাইলে সিনেমা দেখতে পাওয়ার পর। লোকজন ভাবে এটাতো দেখেছিই। টাকা খরচ করে আবার দেখার কী আছে।’

‘এলাকায় ঘরে ঘরে কারেন্ট (বিদ্যুৎ) আসার ফলে খুব ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন প্রায় ঘরে ঘরে টেলিভিশন হয়ে গেছে। সেখানে বসেই ডিশ লাইনে ছবি দেখে তারা। আর আগে ব্যাটারি দিয়ে সাদাকালো টেলিভিশনে ছবি দেখলেও রঙিন ছবি দেখার জন্য হলে আসত। এখন সেই আগ্রহ আর কারও নাই’, বলেন তিনি।

২০১২ সালের পর থেকে প্রেক্ষাগৃহ দুটিতেই দর্শকের সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে আগে যেখানে প্রত্যেক সপ্তাহে নতুন চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হতো, এবারে তার ব্যতিক্রম হতে থাকে। ২০১২ সালে মজিবুর রহমান মারা গেলে তার দুই মেয়ে বছর দুয়েক হল চালানোর পর তা ভেঙে ফেলেন।

বর্তমানে সেখানে কলাবাগান করা হয়েছে। দর্শক না পেয়ে ‘বুলবুল টকিজ’-এ পুরাতন চলচ্চিত্রের প্রদর্শন করা হয়। বুলবুল হোসেন জানান, ‘নতুন যে কোনো ছবি আনতে গেলে ফিক্সডে আনতে হয়। এজন্য কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দিতে হয়। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাও ভালো চলে। সেগুলো আনতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাগে। অথচ সিনেমা ব্যবসা না করলে তো পুরাটাই ধরা। তার চেয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় এই ভাঙ্গাড়ি চালাই।’

মূলত বেশিরভাগ সময় কাটপিস সংযুক্ত চলচ্চিত্র অল্পটাকায় এনে এখানে চালানো হচ্ছে। তবে উপজেলা চত্বরের সীমানা ঘেঁষা ‘বুলবুল টকিজ’-এ কাটপিস সংযুক্ত চলচ্চিত্রের প্রদর্শন নিয়ে মানুষজনের কোনো আপত্তি নেই।

প্রেক্ষাগৃহের প্রচারম্যান কাজল কুমারের অভিযোগ, প্রথমদিকে দর্শক বেশি পাওয়ার লোভে কাটপিস সংযুক্ত চলচ্চিত্রের প্রদর্শন করে হলমালিক। তখন দর্শকও হয়েছে বিপুল সংখ্যক। আস্তে আস্তে আর কোনো চলচ্চিত্র দেখতেই সেরকম দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায় না।

নিজ মনেই বলে চলেন তিনি, ‘একসময় এলাকার ছোট-বড় অনেক ছেলেমেয়ে দলবেঁধে হলে আসতো। পরে জানা যেত এরা বিয়ে বাড়ির গেইট আটকানোর টাকা বরের কাছ থেকে নিয়ে ছবি দেখতে এসেছে। এখন হয়তো চাইনিজে যায়, হলে আসে না। কাটপিস বাংলা সিনেমাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে’

কাউন্টার মাস্টার নূর হোসেনের কাছ থেকে জানা যায়, এলাকার যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার জন্য প্রচারম্যান কাজলের ডাক পড়তো। এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাচ্চারা কাজলের মতো করে ক্যানভাসারের অভিনয় করতো। এখন সেই কাজলকেও আর কেউ মূল্যায়ন করে না। ফলে একসময়ের পুরোদস্তুর প্রচারম্যান কাজল এখন খণ্ডকালীন প্রচারম্যান; বাকিসময় তিনি জমিতে কাজ করেন।

বুলবুল মনে করেন, এই প্রেক্ষাগৃহে আর কোনোদিনই সুদিন ফিরবে না। ‘আয়নাবাজি’ও এখানে কেউ দেখবে না। তার মতে, ক্ষতির আশঙ্কায় হলে নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে আসার সাহস মালিক যেমন করবেন না, পাশাপাশি নতুন চলচ্চিত্র সরাসরি এখানে প্রযোজকরাও দিবে না।

কারণ আগে জেলা শহরে চলার পর উপজেলার প্রেক্ষাগৃহে আসে প্রত্যেক চলচ্চিত্র। আর ততোদিনে সেই চলচ্চিত্র পাইরেসি হয়ে যায়। ফলে দর্শক আর প্রেক্ষাগৃহে আসে না।

‘বুলবুল টকিজ’-এর সব কর্মচারীর অভিযোগ চলচ্চিত্রের মান নিয়ে; তাদের মতে, ‘চলচ্চিত্র বানানোর পর মধ্যবিত্তরা মনে করে এটা তো ছোটোলোকদের জন্য। আর ছোটোলোকরাও নিজেদের সঙ্গে সেই সিনেমার কোনো মিল পায় না। সবমিলিয়ে সিনেমাটা কারও কথাই বলে না।’

পাশাপাশি দেশের অন্য জাতি-গোষ্ঠীর লোকজনদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ না হওয়ার জন্য সেই শ্রেণির দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ার কথাও জানান তিনি। তার ভাষায়, ‘এই অঞ্চলে মুণ্ডা ও সাঁওতালরা অনেক আছে। ভারতে যেমন ছবি হচ্ছে বিভিন্নরকম। ওই রকমভাবে তাদের নিয়ে ছবি হলে, তারাও তো আসতো। দেখেন নওয়াজ সিদ্দিকির ‘মাঝি দ্য মাউন্টেন ম্যান’ কী চলাই না চলল; ওই সিনেমায় নওয়াজ তো সাঁওতালের অভিনয় করেছে। বাংলাদেশের সাঁওতালদের নিয়ে কি ছবি করা যায় না? অথচ এরা দেখি গল্পই খুঁজে পায় না!’

প্রেক্ষাগৃহের সামনের দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বছর দশেক হলো হলের ভিতরে যাই না। ক্যান যাই না ওই পোস্টারের (কাটপিস সংযুক্ত চলচ্চিত্রের পোস্টার দেখিয়ে) দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। তবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার দায়িত্বে এই হল থাকার সময় লোকজন ভালই হয়েছিল। তারা নতুন নতুন ছবি লাগাতো। এরা তো বস্তাপঁচা সব ছবি চালাই।’

এ প্রসঙ্গে বুলবুল হোসেনের কাছ থেকে জানা যায়, জাজ মাল্টিমিডিয়ার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, প্রেক্ষাগৃহের টয়লেট, বারান্দা সব টাইলস করে দিবে। কিন্তু ব্যবসা ভাল না হওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, নিজেরাই আবার প্রেক্ষাগৃহ চালাচ্ছেন।

প্রেক্ষাগৃহের একেবারে সামনের মুদির দোকানি মশিউর রহমান, কেবল প্রেক্ষাগৃহের দর্শকের কথা মাথায় রেখে দোকানটা এখানে দেন। এখন প্রেক্ষাগৃহের দর্শক আর তার খদ্দের নয়। ফলে রাস্তার দিকে আরেকটি দোকান থাকায় বেকায়দায় পড়ে হলমুখি হয়ে দোকান দিয়ে বসে আছেন তিনি।

একই অবস্থা চায়ের দোকানি জিল্লুর রহমানেরও। চলচ্চিত্র দেখতে আসা মানুষজনই ছিল তার খদ্দের। ২০ থেকে ২৫টি বেঞ্চে সবসময় লোকজন বসে থাকতো। চা বিক্রির টাকায় বাজারে জমি-জায়গাও কিনেছেন। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক না হওয়ার ফলে পাশের দুজন দোকানি জায়গা বিক্রি করে চলে গেছেন। জিল্লুর অবশ্য তাদের জায়গা কিনে নিয়েছেন। তবে সেই জায়গায় আর তেমন লোক সমাগম হয় না।

জিল্লুর রহমানের অভিযোগ, ‘আমি যখন চায়ের দোকান শুরু করি তখন মাটির কাপে চা বিক্রি করতাম। পরে কাচের কাপ, এখন আরও উন্নত কাপ ব্যবহার করি; পঁচা পাতির জায়গায় এখন প্যাকেটের কফি বিক্রি করি। আর ৫০ বছর আগে তৈরি করা সিনেমাহলের চেয়ার ভাইঙ্গা পড়্যা গেছে, তারপরেও ঠিক করে না। বছরখানেক পর একবার পর্দা ধুয়ে দেয়; ওই পর্দাত ছবিই তো দেখা যায় না। লোক আসবে কোন দুঃখে।’

এই প্রতিবেদক ‘বুলবুল টকিজ’-এ চলচ্চিত্র দেখতে গিয়ে ঝাপসা পর্দায় দীর্ঘ সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চিনতেই পারেননি। একেবারেই সাদামাটাভাবে তৈরি কাঠের চেয়ারে বসার ব্যবস্থা; অনেকটা বেঞ্চ বানিয়ে মাঝখান দিয়ে হাতল লাগিয়ে চেয়ার করা। সেগুলোরও অধিকাংশ ভাঙা, না হয় কাত হয়ে পড়ে আছে। আর টয়লেটে যাওয়ার যে রাস্তা সেখানে নোংরা পানি জমে থাকায় কোনো দর্শকের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়।

গড়ে একটা শো-তে ১৫ থেকে ২০ জন দর্শক উপস্থিত থাকার কথা জানান বুলবুল। কাটপিস সংযুক্ত পুরাতন চলচ্চিত্রের বিরতিতে পাঁচ থেকে ছয়টি কাটপিস সংযুক্ত গান কখনও কখনও পর্নোগ্রাফি দেখানো হয়।

এই প্রতিবেদক ‌বুলবুল টকিজ'-এ বিশাল হাঙ্গামা চলচ্চিত্র দেখেছেন। বিরতিতে একজন দর্শক উঠে বাইরে চলে যান। পাশে আরেক দর্শককে হস্তমৈথুন করতে দেখা যায়। ১৩ জন দর্শক ছিল ওই শোতে। তাদের ১১ জন দর্শকের বয়সই ষাটোর্ধ্ব।

এর পরের শো-এর জন্য ১১টি টিকিট বিক্রি হতে দেখা যায়। পরের সপ্তাহে চান্দি গরম প্রদর্শিত হয়। সেটাও কাটপিস সংযুক্তভাবেই দেখানো হয়েছে। তারপর এক টিকিটে দুই ছবি ইংরেজি ওয়ান্টেড দেখানো হয়। বুলবুল মনে করেন, প্রেক্ষাগৃহের পুরো পরিবেশ ভালো না করতে পারলে, নতুন ছবি নিয়ে এসে লাভ হবে না। ততোদিন এভাবেই চলতে থাকবে।

তবে বছর কয়েক আগেই পরিস্থিতি ছিল একেবারে ভিন্ন। নওগাঁ সদরের প্রেক্ষাগৃহে নতুন চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে সেটা ‘বুলবুল টকিজ’-এ চালানো হতো। তখন কোনো ভাবনা ছাড়াই নিয়ে আসা হতো ফিক্সডে সিনেমা। টেবিল ক্যাশ দিতেও অতোটা ভাবতে হতো না মালিককে। সেই দিনগুলো এখন কেবলই অতীত, ইতিহাস।

কেএ/এনই/জেআইএম